ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমলার ডবল সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৫২/৫ (ডিক্লে.)

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

আমলার ডবল সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৫২/৫ (ডিক্লে.)

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একদিনেই ৩৪০ রান তুলে ফেলেছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নে একদিনেই নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। আর এর পেছনে মূলত অধিনায়ক হাশিম আমলা আর অভিজ্ঞ এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিধ্বংসী ব্যাটিংই মূল ভূমিকা রেখেছিল। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডবল সেঞ্চুরি (এর মধ্যে একটি ত্রিপল) হাঁকিয়ে তিনি যখন সাজঘরে ফিরেছেন তখন প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে যোগ হয়েছে বিশাল সংগ্রহ। আমলা ৩৭১ বলে ২২ চারে ২০৮ রান করে সাজঘরে ফেরার কিছুক্ষণ পরেই ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ৫৫২ রানের বিশাল সংগ্রহ নিয়ে প্রথম ইনিংসের ইতি টানে স্বাগতিকরা। পরে বৃষ্টির কারণে ব্যাট করতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দিনই রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন আমলা-ভিলিয়ার্স। চতুর্থ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি। সেটাকে আরও বড় করেছেন এ দু’জন দ্বিতীয় দিনে। সবমিলিয়ে ৩০৮ রান যোগ করেছেন তাঁরা জুটিতে। এখন পর্যন্ত টেস্ট ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটিই চতুর্থ উইকেটের সেরা জুটি। আর সেঞ্চুরিয়নে হওয়া টেস্টগুলোর মধ্যে যে কোন উইকেটের বিবেচনায় এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে সেঞ্চুরিয়নের সেরা জুটি ছিল ৩০১ রানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই ২০০৪ সালে সেটা করেছিলেন উদ্বোধনী জুটিতে হার্শেল গিবস ও গ্রায়েম স্মিথ। আর টেস্টে চতুর্থ উইকেটে এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা জুটি ছিল ২৪৯ রানের। সেখানেও প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডারবানে ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে জ্যাক ক্যালিস ও গ্যারি কার্স্টেন এ জুটি গড়েছিলেন। আগের দিনই জুটিতে ২৮৩ রান যোগ করেছিলেন আমলা-ভিলিয়ার্স। তবে দ্বিতীয় দিন বেশিদূর এগোতে পারেননি তাঁরা। আর মাত্র ২৫ রান যোগ হতেই জুটি ভেঙ্গে যায়। ভিলিয়ার্স ২৩৫ বলে ১৬ চার ও ২ ছক্কায় ১৫২ রান করে ফিরে যান। তবে থামানো যায়নি আমলাকে। ক্যারিবীয় বোলাররা গলদঘর্ম হয়েছেন আবারও। এবার আমলা অভিষেক হওয়া তরুণ স্টিয়ান ভ্যান জিলের সঙ্গে জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহে আরও যোগ করেন ৫৫ রান। ক্যারিয়ারের ২৩তম শতক হাঁকানো আমলা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেরা ইনিংস উপহার দেন। সবমিলিয়ে ৩৭১ বলে ২২টি চার হাঁকিয়ে ২০৮ রান করার পর সাজঘরে ফেরেন। সেঞ্চুরিয়নের উইকেট পেসবান্ধব হলেও ক্যারিবীয় পেসারদের নখ-দন্তহীন প্রমাণ করেন আমলা-ভিলিয়ার্স আর ভ্যান জিলেরা। তবে মরা উইকেটে দারুণ বোলিং করে আমলা-ভিলিয়ার্স দু’জনকেই শিকার করেন স্পিনার সুলেমান বেন। তবে ভ্যান জিলও দলের দারুণ অবস্থার কারণে উজ্জীবিত হয়ে অভিষেক ইনিংসেই শতরান হাঁকান। তিনি মাত্র ১৩০ বলে ১৫ চারে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫ উইকেটে ৫৫২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্কোর ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস-প্রথম দিনশেষে ৩৪০/৩; ৯১ ওভার (আমলা ১৩৩*, ভিলিয়ার্স ১৪১*; রোচ ২/৫২) ও দ্বিতীয় দিন-৫৫২/৫, ডিক্লে.; ১৪০.৩ ওভার (আমলা ২০৮, ভিলিয়ার্স ১৫২, ভ্যান জিল ১০১*; রোচ ২/৫২, বেন ২/১৪৮)।
×