ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্মরণ

মিসবাহউদ্দিন খানÑমুক্তিযুদ্ধে ছিল তাঁর অনন্য ভূমিকা

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

মিসবাহউদ্দিন খানÑমুক্তিযুদ্ধে ছিল তাঁর অনন্য ভূমিকা

ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। ২০০৬ সালে এ বিজয়ের মাসের ১৯ তারিখে মিসবাহউদ্দিন খান পরলোকগমন করেন। এবার তাঁর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। মিসবাহউদ্দিন খান ছিলেন অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ, কবি, লেখক, গবেষক, অনুবাদক, তীক্ষè বিশ্লেষক, ব্যবস্থাপনা বিশারদ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দক্ষ প্রশাসক, সফল সংগঠক, প্রশিক্ষক ও সংসদ সদস্য। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মিসবাহউদ্দিন খানের জন্ম ১৯২৯ সালে চাঁদপুরের পুরানবাজার সংলগ্ন নানাবাড়ি শ্রীরামদির জমিদার বাড়িতে। বাবা শিক্ষাবিদ আশেক আলী খান ছিলেন চাঁদপুর জেলার প্রথম মুসলমান গ্র্যাজুয়েট। মা সুলতানা আশেক ছিলেন খ্রীস্টান নারী মিশনারিতে প্রশিক্ষিত এক হৃদয়বান নারী। মিসবাহউদ্দিন খানের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার গুলবাহারে। মিসবাহউদ্দিন খানরা আট ভাই-বোন। সবাই জীবনে প্রতিষ্ঠিত। সাহিত্যিক, গবেষক ও অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর তাঁর ছোট ভাইদের একজন। মিসবাহউদ্দিন খানের তিন ছেলে। বড় ছেলে অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন একজন সুপরিচিত ইতিহাসবিদ। ছাত্র জীবনে তিনি লেখাপড়ায়, খেলাধুলায় ও বক্তৃতায় ছিলেন তুখোড়, আর চাল-চলনে ছিলেন চোখে পড়ার মতো রুচিবান লোক। তিনি ১৯৪৯ সালে ইতিহাসে স্নাতক সম্মান ও ১৯৫০ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী পান অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। প্রথম জীবনে তিনি কবিতা লিখতেন। তাঁর কবিতার বইয়ের নাম ‘লুসাইবালা’। ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাঁর একাধিক বই রয়েছে। দুটো বই বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত। মিসবাহউদ্দিন খান ১২ খ-ে চট্টগ্রাম বন্দরের দলিলপত্র গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন। এর আগে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বৃহদায়তন গ্রন্থ ‘হিস্ট্রি অব দি পোর্ট অব চিটাগাং’। তাঁর মৃত্যুর কয়েকদিন পরে প্রকাশিত বইয়ের নাম নবীজীর সাহাবারা (অনুবাদ)। ‘কমপেনিয়াস অব দি প্রফেট’ বইটি চার খ-ে লন্ডনের মুসলিম এডুকেশন এ্যান্ড লিটারেরি সার্ভিস প্রকাশিত। তিনি আত্মজীবনীও লিখেছেন, যা ‘আত্মস্মৃতি’ নামে প্রকাশিত। -বিজ্ঞপ্তি
×