ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগের পাহাড় ॥ নারী নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

অভিযোগের পাহাড় ॥ নারী নির্যাতন

শর্মী চক্রবর্তী ॥ দেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নারী নির্যাতন। কর্মস্থল ও বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারীরা। আমিনা তাদেরই একজন মাত্র। প্রতিদিন কত সংখ্যক নারী যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তার প্রকৃত খবর কেউ জানেন না। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে পরিবারের লোকদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার পরও মুখ বুঁজে সব সহ্য করছেন। আবার অনেকেই প্রতিবাদ করার জন্য অভিযোগ করছেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে। নির্যাতিত কোন কোন নারী এ সেলে অভিযোগ করলেও পরিবারের পুরুষ সদস্যদের চাপে আবার তা ফিরিয়ে নিচ্ছেন বা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই জমা হচ্ছে অসংখ্য অভিযোগ। তবে অভিযোগ করা হলেও সমাধান হচ্ছে খুবই কমসংখ্যক সমস্যার। মহিলা অধিদফতরের অন্তর্ভুক্ত এই সেলে অসহায় নারীরা বিনা টাকায় বিচার পাওয়ার আশায় ছুটে আসেন। টেবিলে অভিযোগের পর অভিযোগ জমা হয়। কিছু অভিযোগ দায়ের হলেও বেশিরভাগই রয়ে যায় ফাইলবন্দী। বিচার না পেয়ে অনেকেই ফিরে যান হতাশা নিয়ে। পরিসংখ্যানে এমন দৃশ্যই ফুটে ওঠে। অভিযোগের সংখ্যা বেশি কিন্তু সুরাহা অত্যন্ত কম। নির্যাতিত নারীরা বিচার পেতে আসেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে। বিচারের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন কিন্তু বিচারিক ক্ষমতা না থাকায় এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় না। সালিশের মাধ্যমে সকল অভিযোগের মীমাংসা করা হয়। এক্ষেত্রে বাদী বিবাদী দু’জনকেই উপস্থিত থাকতে হয়। তবে একজন উপস্থিত থাকলে সেই মামলা পরে থাকে দিন মাস কখনো বছর। রাজধানীর ইস্কাটনের মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের নিচতলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন বিচারপ্রার্থী নির্যাতিত ৪০ থেকে ৫০ জন নারী আসেন। মাসে গড়ে ১ হাজার ৫শ’ নারী আসেন বিচারপ্রার্থী হয়ে। প্রতিদিনই বাড়ছে এ সংখ্যা। এসব নারীর বেশিরভাগই যৌতুকের কারণে স্বামীর নির্যাতনের শিকার। মহিলা সহায়তা কর্মসূচীর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১১ সাল থেকে ১৪ সালÑ ৪ বছরে নারী নির্যাতন সেলে পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুক, শারীরিক নির্যাতন, ২য় বিয়ে, তালাকসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। এসব বিষয়ে মোট অভিযোগ জমা হয়েছে ৪১,৪০৮টি, ফয়সালা হয়েছে মাত্র ১০৭৬টি অভিযোগের। এর মধ্যে ২০১১ সালে অভিযোগ জমা হয়েছে ১৩,৩৫৪টি, ফয়সালা হয়েছে ৩০৩টি, ২০১২ সালে অভিযোগ জমা হয়েছে ১৪,৪০৫টি, ফয়সালা হয়েছে ৩৩৫টি, ২০১৩ সালে অভিযোগ জমা হয়েছে ১০,৯৯৭টি, ফয়সালা হয়েছে ৩৪০টি এবং ২০১৪ সালে অভিযোগ জমা হয়েছে ৩৪০১টি এবং ফয়সালা হয়েছে ৯৮টি। আমিনা খাতুন। ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে নূরুন্নবীর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমিনার বাবা খুব কষ্টে ছেলেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়। প্রথম দিকে ভালোই কাটে সংসার জীবন। ১ ছেলে আর এক মেয়ের সংসারে ৩-৪ বছর যাওয়ার পরই আমিনার ওপর আবার যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেয়া শুরু করে নুরুন্নবী ও তার পরিবার। তখন আমিনা স্বামীর পরিবারকে জানায়, আমার বাবার পক্ষে এখন আর কোন টাকা দেয়া সম্ভব নয়। কৃষিকাজ করে আমাদের সংসার চলে। বিয়ের সময় বাবা অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। এ কথা শোনার পর শুরু হয় আমিনার ওপর অমানুষিক নির্যাতন। স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি সবাই তার ওপর নির্যতন চালায়। কথায় কথায় মারধর করে। একপর্যায়ে স্বামীর ঘর থেকে বাধ্য হয়ে চলে আসে বাবার বাড়িতে। দরিদ্র বাবা জামাইয়ের যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না বিধায় মেয়ে আর ২ সন্তানকে তার কাছেই আশ্রয় দেয়। বাবার বাড়ি থেকে কাছের লোকদের পরামর্শে এক পর্যায়ে আমিনা স্বামীর এহেন অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সরকারের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে অভিযোগ করে। স্বামী নুরুন্নবী সেলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদানের কথা শুনে বলে, ‘তোর নারী নির্যাতন সেল আমি নুরুন্নবীকে কিছুই করতে পারবে না বলে রাখলাম।’ তারপরও আমিনা আশা ছাড়েনি, সেলে নিয়মিত যোগাযোগ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার স্বামীর কথাই ঠিক হয়। কোন বিচার পায়নি আমিনা। সে বলে, অভিযোগ করার পর স্বামীর কাছে সেলের পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়। কয়েকবার নোটিস পাঠানোর পরও নুরুন্নবী আসেনি। সেলের শুনানি কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, বিবাদী উপস্থিত না হলে আমরা কোন বিচারই করতে পারব না। নিরাশ হয়ে আমিনা ফিরে আসেন সেল থেকে। তিনি বলেন, গরিবের জন্য কোন বিচারের জায়গা নেই। এই ঘটনার পর নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের ওপর থেকে আশা ছেড়ে দিয়েছে আমিনা। বাবার বাড়িতে ১ ছেলে আর ১ মেয়েকে নিয়ে কোনমতে জীবন কাটাচ্ছে। ১ বছর আগে সেলে অভিযোগকারী তাসলিমা খাতুন। প্রতি হাজিরার তারিখে উপস্থিত থাকেন সেলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একদিনও শুনানি হয়নি। এর কারণ বিবাদীর কাছে নোটিস যাওয়ার পরও সে উপস্থিত হয়নি। তাসলিমা বলেন, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আমি নারী নির্যাতন সেলে অভিযোগ করেছিলাম। আমার স্বামী আবদুর রহমান একটি তারিখেও উপস্থিত হননি। ফলে এখনও পর্যন্ত কোন বিচার পাইনি। তিনি বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে শরিয়তপুরের আবদুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভালই কাটছিল সংসার। ২ বছর পর আমাদের একটা মেয়ে হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় সংসারে অশান্তি। আর এর কারণ হলো যৌতুক। স্বামী আবদুর রহমান প্রতিদিন বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত। এই টাকা দিয়ে সে ব্যবসা করবে এই কথা বলে চালাত নির্যাতন। টাকা এনে না দেয়ায় আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আমি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে অভিযোগ করি। ১ বছর হয়ে যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত আমি কোন বিচার পেলাম না। অসহায় তাসলিমা বিচারের আশা ছেড়ে দিয়ে এখন কাজের সন্ধানে ঘুরছেন। কারণ আদালতে মামলা করার কোন ক্ষমতা বা টাকা তার নেই। সোমবার সকালে কথা হয় নির্যাতনের শিকার অসহায় আম্বিয়া, হামিদা ও রোকেয়ার সঙ্গে। সেখানেই নির্যাতিতরা তাঁদের নির্যাতনের করুণ কাহিনী তুলে ধরেন। গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার ডিকডারি গ্রামের পারভীন তার মেয়ে আম্বিয়াকে নিয়ে এসেছেন মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের নিচতলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে। ৩ বছর আগে এক দূর সম্পর্কের বোনের ছেলে বিপুলের সঙ্গে আম্বিয়াকে বিয়ে দেন তিনি। বিয়ের সময় সহায়-সম্বল বিক্রি করে জামাইকে প্রায় দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেন পারভীন। বিয়ের এক বছর না যেতেই নতুন করে আবার যৌতুক দাবি করে বিপুলের পরিবার। যৌতুকের দাবিতে আম্বিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তাঁরা। এ অবস্থায়ই আম্বিয়া গর্ভবতী হন। আম্বিয়ার ওপর নির্যাতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। আম্বিয়া জানান, তাঁদের নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সহ্য না করতে পেরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন। বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় পেটে অনেক লাথিও খেতে হয়েছে তাঁকে। এই নির্যাতন সহ্য করেও আম্বিয়া সন্তানের জন্ম দেন। তারপর ঐ নিষ্পাপ শিশুসন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। শাশুড়ি এবং স্বামী বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সময় এই বাড়িতে আর কোনদিন পা দিবি না, তোর বাচ্চা তুই সঙ্গে লইয়া যা, আমি আমার পোলারে বেশি টাকা যৌতুক নিয়ে আবারও বিয়া দিমু, বৌয়ের দাবি নিয়া যদি আসবি, তাইলে মাইরা ফালামু’ বলে শাসানো হয় তাকে। আম্বিয়ার বাচ্চার বয়স এখন ১৮ মাস। আম্বিয়ার মা মাটি কাটার কাজ করে যা পান, তা দিয়ে মেয়ে এবং নাতিকে কষ্টশিষ্ট করে খাওয়ালেও বাচ্চার ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন পারভীন। সন্তানকে নিয়ে তিনি এখন চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। পারভীন তাই মেয়ের নির্যাতনের বিচার এবং নাতির ভরণপোষণের দাবিতে বিপুল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে। মুন্সীগঞ্জ থেকে এসেছেন রোকেয়া স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তিনি। প্রেম করার সময় স্বামী রাহাত ভাল থাকলেও বিয়ের পর তার আসল চেহারা বের হয়ে আসে। বিয়ের কয়েকদিন পরই যৌতুকের জন্য অত্যাচার করতে থাকে রাহাত। দিন দিন তার অত্যাচারের মাত্রা বাড়তেই থাকে। প্রতিনিয়তই অমানবিক অত্যাচার সহ্য করে এক বছর বহু কষ্টে পার করেও বর্তমানে রাহাতের পরিবারের সব সদস্য মিলে অত্যাচার শুরু করায় অনেকটা বাধ্য হয়েই সেলের আইনজীবী আপাদের কাছে বিচার চাইতে এসেছেন বলে জানান রোকেয়া। আম্বিয়া, রোকেয়ার মতো নির্যাতিত অসহায় নারীদের চোখের জল এবং দীর্ঘশ্বাসে প্রতিদিনই ভারি হয়ে ওঠে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল। কেউ কেউ ন্যায়বিচার পেলেও অধিকাংশ নারীকে ফিরতে হয় শূন্যহাতে। এ বিষয়ে সেলের আইনজীবী পারভীন আক্তার খান বলেন, বর্তমানে উচ্চবিত্ত পরিবারের মধ্যেও নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত সব স্তরের পরিবারের অভিযোগ আসে। আমরা সাধ্যমতো সালিশের মাধ্যমে এই অভিযোগগুলো মীমাংসা করি। এক্ষেত্রে অনেকের সংসার টিকে থাকে অনেকের, আবার কাবিনের টাকা পরিশোধ করে সংসার ভেঙ্গে যায়। সুরাহা কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নারী নির্যাতন সেল থেকে বিবাদীর কাছে পাঠানো নোটিস অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। কারণ তাদের একটা ধারণা এই সেলের শুধু ডেকে নিয়ে বুঝানো ছাড়া আর কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাই অভিযোগগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী নির্যাতন সেলের ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকারী সিনিয়র সহকারী সচিব ফেরদৌসি বেগম বলেন, সেলে আসা মামলাগুলো সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়। আমাদের মূল টার্গেট সংসার ভাঙ্গা নয়, ভাঙ্গা সংসারটা টেকানো। তাই সেলের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করি। এর মধ্য দিয়ে একটা চুক্তি হয়। অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে মামলা ফলোআপ করা হয়। যেগুলো এখানে সমাধান করা সম্ভব হয় না সেই মামলাগুলো কোর্টের পারিবারিক আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সুরাহা কম হওয়ার কারণ হিসেবে নানা সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এখানে অভিযোগ করার পর আমরা আমাদের প্রক্রিয়ায় তাদেরকে নোটিস পাঠাই। এতে না আসলে ২টি নোটিশের পর ঐ এলাকার পুলিশের মাধ্যমে তাদের সংবাদ পাঠাই। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ আদালতে এসে হাজির না হওয়ায় হাজারো অভিযোগ অমীংমাসিত রয়ে যায়। নিয়মের বাইরে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমাদের কাছে যদি ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা থাকত তাহলে অব্যশই সব অভিযোগের সুরাহা হতো। এতে তাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করত যে, সেখানে উপস্থিত না হলে জেলে যেতে হবে। এই বিষয়ে আমি কয়েকবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে অভিযোগ সেলেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। অনেকটা আক্ষেপের সঙ্গেই ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পারিবারিক আদালতে মামলাগুলো গেলেই নিষ্পত্তি হতে বছরের পর বছর লেগে যায়। বেশিরভাগই নিরক্ষর এবং দরিদ্র নির্যাতিত নারী হওয়ায় তাদের পক্ষে এতদিন মামলা পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। ফলে নির্যাতিত নারীরা সুবিচার পান না। তাদের সন্তানদের ভরণপোষণের টাকাও আদায় করা সম্ভব হয় না। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতায় আসামি রেহাই পেয়ে যায়। সবদিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয় নির্যাতিত নারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। যদি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হতো তাহলে অধিকাংশ মামলাই দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হতো এবং নির্যাতিতরা সুবিচার পেতেন।
×