ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর ॥ আমু

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪

দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর ॥ আমু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীর বিশেষ কোন সংস্থা ও এর কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে দেয়া বক্তব্য দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর। র‌্যাব ও এই বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে নিয়ে সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন। বুধবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্বুদ্ধ করা উচিত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে, কোন কোন দলের নেতা-নেত্রীরা কোন কোন সংস্থার প্রধানদের নাম নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য জাতির জন্য ক্ষতিকর, দেশের জন্য ক্ষতিকর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক না থাকলে কোন দলেরই কাজ করার পরিস্থিতি থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে কাউকে ফায়দা লুটতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, নাম ধরে কোন সংস্থার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে বলে কমিটি মনে করছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনে র‌্যাবকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে হত্যা-গুম করছে বলে অভিযোগ করে আসছেন বিএনপির নেতারা। গত শনিবার নারায়ণগঞ্জে এক জনসভায় র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানকে গুম-হত্যাকা-ের জন্য দায়ী করে তার গ্রেফতার দাবি করেন খালেদা জিয়া। সভায় মামলা জট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক ও মানব পাচার রোধ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান আমু। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আমির হোসেন আমু বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্য চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য চাঁদাবাজির সময় ধরা পড়ার পর এ মন্তব্য করলেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য চাঁদাবাজির মতো অন্যায় কাজে জড়িত থাকলে তাদের কঠোরভাবে দমন করার নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এমনকি তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আমু বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা যা করণীয়, আমরা তাই করছি। এ সময় কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন। এসব করে তারা ফায়দা লুটতে পারবেন না।’ দ্রুত বিচার আইনের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য আইনের কিছু জটিলতার পাশাপাশি বিচারক সঙ্কট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সব সঙ্কট কাটিয়ে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমু আরও বলেন, ‘বিএসএফের সহযোগিতায় ভারত থেকে ফেনসিডিল আসা অনেকাংশে কমেছে। ইয়াবা আসা বন্ধে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ফেনসিডিল পাচার ৯০ শতাংশ কমেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ইয়াবা ঠেকাতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা।
×