ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লেও সূচক কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪

পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লেও সূচক কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের নতুন প্রজন্মের স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে এখনও খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। যার কারণে সোমবারও দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের পতন হলেও নতুন সফটওয়ার চালুর তৃতীয় দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন সামান্য বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে ২৩৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। নতুন সফটওয়ার চালুর পরে হাওলা, লাগা ও আগামী করের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসার কারণে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা নিরাপদ দূরত্বে রয়েছেন বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এদিকে প্রধান বাজারের দরপতনের কারণে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছেন। সেখানেও বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বা ১৯ শতাংশ। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ২০০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার। সকালেই আগের দিনের চেয়ে সূচকের সামান্য পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। দিনশেষে সূচকের ওঠানামা শেষে ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক বা ডিএসই এক্স সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৪৭ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩০৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। দিনটিতে ডিএসইতে খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাতটি। সারাদিনে এ খাতের কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৫ ভাগ। এরপরে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৫৩ ভাগ। তবে তৃতীয় অবস্থানে চলে আসে ব্যাংক খাতটি। সম্মিলিতভাবে খাতটির ৩০ কোম্পানির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনেদেনের ১০ দশমিক ২৬ ভাগ। এছাড়া ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। এরপরে রয়েছে- ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, অগ্নি সিস্টেমস, স্কয়ার ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো, কেয়া কসমেটিকস, গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক ও বেক্সিমকো ফার্মা। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ফু-ওয়াং ফুড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, দেশবন্ধু, সাফকো স্পিনিং, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, ফার ইস্ট নিটিং এ্যান্ড ডাইং, আইসিবি ১ম এনআরবি, বাজার পেইন্টার্স ও ওরিয়ন ইনফিউশন। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ইবিএলএনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, আরএন স্পিনিং, আজিজ পাইপস, এমবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সিম ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, মেঘনা পেট, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন, রহিম টেক্সটাইল, ৭ম আইসিবি ও হামিদ ফেব্রিক্স। সোমবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ২৭ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ বেক্সিমকো, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, আর এন স্পিনিং, হামিদ ফেব্রিক্স, ফু-ওয়াং ফুড, গ্রামীণফোন, কেয়া কসমেটিকস, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, এবি ব্যাংক ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।
×