ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শাহীন কলেজে হকি টার্ফ উদ্বোধন করলেন নেগ্রে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪

শাহীন কলেজে হকি টার্ফ উদ্বোধন করলেন নেগ্রে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় স্কুল হকির উদ্বোধন করতে রবিবার রাতে ঢাকায় এসেছেন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (আইএএইচএফ) সভাপতি লিয়েন্দ্রো নেগ্রে। সোমবার ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজের মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ টার্ফের উদ্বোধন করেন তিনি। এই টার্ফ উদ্বোধন তাঁর কাছে স্মরণীয় মুহূর্ত বলে জানান তিনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যত হকি তারকাদের জন্ম হবে। বৃহস্পতিবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামের টার্ফের ভিত্তিপ্রস্তরও উদ্বোধন করবেন এই স্প্যানিশ। শাহীন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন নেগ্রে। তারপর সংবর্ধনা দেয়া হয় বাংলাদেশ জাতীয় অনুর্ধ-২১ হকি দল ও ওয়ার্ল্ড হকি রাউন্ড-১ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলকে। শেষের দলটিকে আর্থিক পুরস্কারও দেয়া হয়। এদেশের ক্রিকেট, ফুটবল বা অন্য খেলায় যা হয়নি, তাই হয়েছে দেশের হকিতে। বীমার আওতায় এসেছেন জাতীয় দলের হকি খেলোয়াড়রা। তাদের এই বীমা সুবিধা দেবে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। তাদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সঙ্গে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, বিএএফ শাহীন কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল নাঈম হাসান, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেডের উপদেষ্টা নাসির এ চৌধুরী এবং মহাব্যবস্থাপক ফারজানা চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি প্রদর্শনী হকি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের স্বনামধন্য সাবেক খেলোয়াড়রা এ ম্যাচে অংশ নেবে। নেগ্রে ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। শাহীন স্কুলে টার্ফ উদ্বোধন করায় বাংলাদেশের হকির জন্য একটা মাইলফলক বলে মন্তব্য করেন নেগ্রে। ৪০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৫ মিটার প্রস্থ শাহীন স্কুলের কৃত্রিম টার্ফ স্থাপন করতে খরচ হবে ১ কোটি টাকা। যা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টস এ্যান্ড টেকনোলজি নামক একটি কোম্পানি। সঠিক সময়ে টার্ফ বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী হকি ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার মার্শাল এনামুল বারীর। হকির জন্য নেগ্রের কাছে একজন স্প্যানিশ কোচ চেয়েছিল বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। কিন্তু নেগ্রে পরামর্শ দিলেন স্থানীয় কোচ দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে। ফ্লাডলাইট প্রসঙ্গে নেগ্রে বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে প্রতিটি দেশকে এফআইএইচের পক্ষ থেকে ফ্লাডলাইট দেয়া সম্ভব না। টাওয়ার লাইটগুলো অনেক ব্যয়বহুল। বাংলাদেশের সরকার এবং ফেডারেশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কিভাবে ফ্লাডলাইট লাগানো যাবে। তবে আমার মত হচ্ছে স্টেডিয়ামের চারপাশে পিলারের মতো করে লাইট লাগানোটা উত্তম। এতে খরচ কম লাগবে।’ নেগ্রে এ নিয়ে তৃতীয়বাবের মতো বাংলাদেশ সফরে আসলেন। তাঁর আসা মানেই হকিতে নতুন কোন চমক। প্রথম সফরে ঢাকা এসেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন তিন জাতি হকি টুর্নামেন্টের। কিন্তু এখনও আলোর মুখ দেখেনি এই টুর্নামেন্টটি। তবে নেগ্রে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপার আশ্বাস দিয়েছেন।
×