ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘মহাজনের নাও’ নিয়ে আজ লন্ডন যাচ্ছে সুবচন

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

‘মহাজনের নাও’ নিয়ে আজ লন্ডন যাচ্ছে সুবচন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুবচন নাট্য সংসদের অন্যতম জনপ্রিয় প্রযোজনা নাটক ‘মহাজনের নাও’। সুনামগঞ্চের সাধক পুরুষ শাহ আবদুল করিমের জীবন ও দর্শন নিয়ে রচিত নাটকটি দেশ-বিদেশে মঞ্চায়নের পর ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এরই মধ্যে নাটকটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নাট্য উৎসবসহ দেশের বাইরে ভারতের আসাম, কলকাতা, বেলুনিয়া, ত্রিপুরা, মধ্যমগ্রাম, কোচবিহার এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কেউচংয়ে প্রদর্শিত হয়ে বিপুল প্রশংসা অর্জন করেছে। নাটকটি নিয়ে আজ সোমবার লন্ডন যাচ্ছে সুবচন নাট্য সংসদ। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটে ‘সিজন অব বাংলা ড্রামা ফেস্টিভ্যালে’ আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর নাটকটির দুটি মঞ্চায়ন হবে বলে দল সূত্রে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে সুবচন নাট্য সংসদের দল প্রধান আহাম্মদ গিয়াস জানান, লন্ডনে আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর ‘মহাজনের নাও’ নাটকের দুটি প্রদর্শনী উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে লন্ডন যাত্রার আগে প্রস্তুতি হিসেবে জাতীয় নাট্যাশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সম্প্রতি নাটকটির ৭৬তম প্রদর্শনী করা হয়েছে। লন্ডনে বসবাসরত বাঙালীরা, বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের মানুষ নাটকটি দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। এছাড়া লন্ডনে নাটকটির প্রদর্শনী নিয়ে সুবচনের সদস্যরাও দারুণ উৎফুল্ল বলে জানিয়েছেন আহাম্মদ গিয়াস। নাটকটি রচনা করেছেন শাকুর মজিদ। নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয় শিল্পীরা হলেন আহাম্মদ গিয়াস, আসাদুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম বাবুল, মনিরুল হোসেন শিপন, সোনিয়া হাসান সুবর্ণা, ইমরান হোসেন, ইমতিয়াজ, সোহেল, রাসেল, তানভীর প্রমুখ। ভাটি অঞ্চলের প্রখ্যাত মরমী কবি শাহ আবদুল করিমের জীবন ও দর্শন নিয়ে রচিত নাটকের গল্পে দেখা যায় বাউল করিম রাখাল বালক, গরুর পাল নিয়ে ছুটে চলে গ্রামের মেঠোপথে, দোতারা হাতে নদীর তীরে হাঁটে, রাখাল বালক হাঁটতে হাঁটতে গান বাধে। তার গানে থাকে ভাটির কথা, অনাহারী কৃষকের কথা। গানে গানে মানুষের দুঃখে করিম কাঁদে। করিমের কণ্ঠে উঠে আসে হাওর প্রদেশের গান; গানে উঠে আসে ভাটির টান। ভাটি গ্রাম উজানধরের মসজিদের ইমাম বাউল করিমকে গান-বাজনা করে বলে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিতে চান। আকবর, রুহী, বনেশসহ ভাটি অঞ্চলের বাউলের দল করিমের পিছু পিছু দলে এসে ভিড়ে যায়। সবাই মুর্শিদ মেনে করিমের শিষ্য হতে চায়; ভাটি অঞ্চল আর হাওর প্রদেশের নদীর তীরে রাখাল বালক থেকে দিনে দিনে বাউলের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ‘মহাজনের নাও’ নাটকে সুবচন নাট্যদল শাহ্ আবদুল করিমের জীবনের গল্প বলতে গিয়ে নাট্যদল সুবচন দর্শকদের বলতে চেয়েছেন যে করিম নিজেকে ভেবেছিলেন কোন এক মহাজনের কাছ থেকে পাওয়া ধার করা নৌকা, যে নৌকার মালিক তিনি নন, চালিয়ে নেয়াটাই ছিল শুধু তার দায়িত্ব। এ কথাটিই বলতে চেয়েছেন শাহ আবদুল করিম। এভাবেই বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমের জীবন ও দর্শননির্ভর ‘মহাজনের নাও’ নাটকের কাহিনী এগিয়ে যায়।
×