ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিটিএল ॥ চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিয়ান এইস

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

আইপিটিএল ॥ চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিয়ান এইস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার টেনিস লীগের (আইপিটিএল) প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছে ইন্ডিয়া এইস। শনিবার টুর্নামেনেটর ফাইনালে নোভাক জোকোভিচের ইউএই রয়্যালসকে হতাশ করে প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে সানিয়া মির্জার দল ইন্ডিয়া এইস। যদিও আইপিটিএলের শিরোপার অন্যতম দাবিদার ছিল ইউএই রয়্যালস। তবে আলাদা চারটি মঞ্চে লীগভিত্তিক খেলায় দারুণ পারফর্ম করে রয়্যালসের শিরোপা জেতার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল এইস। শেষ ম্যাচে গায়েল মনফিলসের বিপক্ষে ৬-০ গেমে জিতেও কোন লাভ হয়নি বর্তমান টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা নোভাক জোকোভিচের। তাই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরের শিরোপা জিতেছে এইস। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বেশ ভাল পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছে ইন্ডিয়ান এইস। এর কারণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ই রয়েছেন এই দলে। আর ইন্ডিয়ান এইসের প্রথম আসরের সদস্যরা হচ্ছেন টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি রজার ফেদেরার, পিট সাম্প্রাস ও সার্বিয়ার প্রতিভাবান খেলোয়াড় আনা ইভানোভিচ। এছাড়া এই দলেই খেলেছেন ভারতের সানিয়া মির্জা ও রোহান বোপানা। আর তাদের কঠোর অনুশীলন ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই ইন্ডিয়ান এইস দারুণ একটা টুর্নামেন্ট শেষ করল। চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিয়ান এইসের পর যথারীতি দ্বিতীয় রয়্যালস, তৃতীয় ম্যানিলা মাভারিকস ও চতুর্থ হয়েছে সিঙ্গাপুর সø্যামার্স। টেনিস বিশ্বের বড় বড় তারকা নিয়েই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আইপিটিএল। টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ, সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার, বৃটেনের এ্যান্ডি মারে খেলেছেন এই ইভেন্টে। আর মহিলা এককে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা সেরেনা উইলিয়ামস, এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কা এবং আনা ইভানোভিচও খেলেছেন এই আসরে। ফিলিপাইনের ম্যানিলা, সিঙ্গাপুর, নিউদিল্লী এবং দুবাইয়ে-এই চারটি স্থানে হয় টুর্নামেন্ট। এই ইভেন্টের মাধ্যমেই টেনিস তারকাদের ভারতে আসা হয়। এতে খেলোয়াড়রা দারুণ আনন্দিত এবং রোমাঞ্চিত। সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচই দারুণ আনন্দিত। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি পুরো টুর্নামেন্টটা দারুণ উপভোগ করেছি। এর মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত আইপিটিএলে খেলার সুযোগ ঘটে আমার এবং প্রথমবারের মতো ভারতে আসার সৌভাগ্য হয় আমার। এখানে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলেছি যার জন্য আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’ নোভাক জোকোভিচ তো শিরোপা না জিততে পেরেও উল্লাসিত। আর চ্যাম্পিয়ন হয়ে তার চেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত সানিয়া মির্জা। সম্প্রতি ইউনাইটেড নেশনসের দক্ষিণ এশিয়ার গুডইউল এ্যাম্বাসেডর হওয়ার পর নারী অধিকার নিয়েও মন্তব্য করলেন স্বয়ং সানিয়া মির্জাই। ভারতের মেয়েদের শীর্ষ টেনিস তারকা বলেছেন, ‘এখানে লিঙ্গবৈষম্য নীতি রয়েছে। যা নারীদের কাছে খুবই সমস্যার। সমাজ এখনও এই নীতির উপর ভর করেই এগোচ্ছে। ফলে আমাদের মতো মেয়ে ক্রীড়াবিদরা পদে পদে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।’ নিজের কথা টেনে সানিয়া বলেন, ‘আমার খেলোয়াড়ি জীবনে এমন সব সমস্যা ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে যা কোন ছেলে ক্রীড়াবিদকে পড়তে হয়নি। এটা আমার কাছে বড় যন্ত্রণার।’ সানিয়াই দক্ষিণ এশিয়া থেকে প্রথম কোন মেয়ে ক্রীড়াবিদ ইউনাইটেড নেশনসের এমন দায়িত্ব পেলেন। এর প্রচারে তিনি বলেন, ‘মেয়েদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। তাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে। মেয়েরা অবশ্য নিজেরাই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। নির্ভয়া কাণ্ডের পর সারা দেশের মেয়েরা প্রতিবাদ জানানোর জোর পেয়েছে।’
×