ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জাতির বিনম্র শ্রদ্ধা

যুদ্ধাপরাধীমুক্ত দেশ বিনির্মাণে প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা জোয়ার

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

যুদ্ধাপরাধীমুক্ত দেশ বিনির্মাণে প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা জোয়ার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলার বিজয়ের ঊষালগ্নে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর, আলশামসদের সহায়তায় এ দেশের যে মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে দেশবাসী। স্বজন হারানোর বেদনা আর বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারে স্বস্তি- এই ভিন্ন আবহেই রবিবার দিবসটি পালন করল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোটি মানুষ। দিবসটিতে রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেন একাত্তরের মতোই জেগে উঠেছিল দেশের মানুষ। পথে পথে ছিল নতুন প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা গণজাগরণ। দেশের পথে-প্রান্তরে দেশ মাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হন্তারক রাজাকার-আলবদরদের প্রতি মানুষের প্রবল ঘৃণা-ধিক্কারের বহির্প্রকাশ আর ‘নরঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকরের এমন বজ্রকঠিন দাবি অতীতে কখনই দেখেনি দেশের মানুষ। দিনভর লাখো নানা বয়সের মানুষ জড়ো হয়েছিল মিরপুর আর রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধে। তাদের হাতে ছিল ফুল, কণ্ঠে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের দাবি। আর বিশেষ লক্ষ্যণীয় একটি বিষয় তা হলো স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে স্মৃতিসৌধে নতুন প্রজন্মের এমন বাঁধভাঙ্গা স্রোতও অতীতে দেখা যায়নি। নতুন প্রজন্মসহ দেশমাতৃকার সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অমর স্মৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আসা লাখো শোকার্ত মানুষের কণ্ঠে ছিল অভিন্ন আওয়াজ- ‘অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই।’ ‘রাষ্ট্রদ্রোহী হায়েনা রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধী, বাঙালী তোদের ক্ষমা করবে না, তোদের বিচার হবেই এ বাংলায়’-মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের প্রবেশ পথেই একটি সাদাকালো ব্যানারে লেখা ছিল এই দীপ্ত শপথ বাণী। শুধু ব্যানার নয়, রবিবার দিনভর হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধা, ভালবাসার সঙ্গে স্মরণ করতে আসা লাখো শোকার্ত মানুষের কণ্ঠেও ছিল সেই একই দাবি। পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও তাদের মদদদাতাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা-ধিক্কার জানিয়েছেন নানাভাবেই। মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে উঠেছিল মিরপুর ও রায়েরবাজার শহীদ বৃদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বাংলার যে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বুকের তাজা রক্তের মূল্যে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, দেশমাতৃকার সেই বীর সন্তানদের অমর স্মৃতির প্রতি কৃতজ্ঞ জাতি অপরিসীম বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালবাসার মধ্য দিয়ে রবিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করল ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’। শোকার্ত মানুষ মিরপুর এবং রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুলে ফুলে নিবেদন করেছেন তাদের প্রাণের অর্ঘ্য। এ দুটি স্থানে একটি বা দু’টি ব্যানার নয়, পাক হানাদার ও তাদের এ দেশীয় দোসর হায়েনাদের দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যার পর বধ্যভূমিতে ফেলে রাখার অসংখ্য নিষ্ঠুর ও ভয়াবহ আলোকচিত্র শ্রদ্ধা জানাতে আসা হাজারও বাঙালীকে শিহরিত করে তুলেছিল। সকালে কলো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন, শোক র‌্যালি, শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল। ভোরের সূর্য ওঠার আগেই হাজারো মানুষ ভিড় করে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সামনে। এ সময় সবার হাতে ছিল ফুলের তোড়া, কালো ব্যানারে আর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে লেখা ‘বুদ্ধিজীবীর স্মরণে ভয় করি না মরণে’ বুদ্ধিজীবীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ ‘জামায়াত, শিবির, রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’। আর কণ্ঠে একাত্তরের ঘাতক রাজাকার, আলবদর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে স্লোগান; দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্মৃতিস্তম্ভের বেদীমূলে যাওয়ার অপেক্ষা। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে সবার দাবি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ, জাতি আর এ কলঙ্ক বহন করতে চায় না। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মাহবুবউল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাপার সংসদ সদস্য নোমান মিয়া ও সেলিম উদ্দিন। পরে একে একে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানায় কেন্দ্রীয় ১৪ দল, শহীদ পরিবারের সন্তান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যদিকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. মঈন খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির, হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাসদ ও দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে সাম্যবাদী দল বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন শাখার পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, যতদিন বাংলার মাটিতে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সমাপ্ত না হবে ততদিন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পাবে না। একাত্তরের ঘাতকরা বিজয়ের প্রাক্কালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে, জাতিকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ পিছিয়ে যায়নি, এগিয়ে গেছে, এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, ২০১৯ সালের একদিন আগেও কোনো নির্বাচন হবে না। সরকারের মেয়াদ শেষ হলে সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে। তার আগে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। দেশের পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী। রায়ের বাজারেও শোকার্ত মানুষের ঢল ॥ এদিকে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়ের বাজারের বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধে সকালে মানুষের ঢল নামে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দালাল রাজাকার, আলবদর ও আলশামস সদস্যরা যেখানে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে ফেলে রেখেছিল, সেখানে বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে জনতার স্র্রোত। সব স্রোত যেন এক মোহনায় মিশে একাকার হয়ে যায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মুহুর্মুহ স্লোগানে বদ্ধভূমি এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে মাহবুবউল আলম হানিফ, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ড. আবদুস সোবহান গোলাপসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ ও প্রজন্ম মঞ্চ, উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নেতৃত্বে প্রসিকিউটরবৃন্দ, উপাচার্য প্রফেসর ড. এমএ মান্নানের নেতৃত্বে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার, ডাঃ আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডাঃ নুজহাত চৌধুরী ও শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূরের নেতৃত্বে প্রজন্ম-’৭১, সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, গোলাম কুদ্দুসের নেতৃত্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠন, আব্দুস সামাদ পিন্টুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বধ্যভূমির আদলে মানব ভাস্কর্য রচনা করে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর। এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর জাতীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন। বিশ্ব বাঙালী সম্মেলনের সভাপতি কবি আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে ও এজাহিকাফের মহাসচিব লায়ন সালাম মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
×