ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বজিত হত্যা মামলা

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪

বিশ্বজিত হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বজিত হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী রিপন সরদারকে মারধরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সবুজবাগ থানা পুলিশ যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে বিশ্বজিত হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী রিপন সরদারকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি রাজুকে যাত্রাবাড়ীর সিফাত ফিলিং স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, বহুল আলোচিত বিশ্বজিত হত্যা মামলার সাক্ষী রিপন সরদার গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সবুজবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে রিপন সরদার বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি টঙ্গী থেকে যাত্রাবাড়ীর যাওয়ার উদ্দেশ্যে তুরাগ পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১৬৭৭ নম্বরের একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠেন। ওই বাসের চালক ছিল রাজু। রাজু তার পূর্ব পরিচিত। রাজুকে ৪ মাস আগে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এ কারণে রাজুর ধারণা, রিপন পুলিশকে দিয়ে তাকে গ্রেফতার করিয়েছিল। এমন ধারণা থেকেই রাজু তাকে (রিপন সরদার) শায়েস্তা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজু যথারীতি বাসটি চালিয়ে টঙ্গী থেকে যাত্রাবাড়ীর দিকে রওনা হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বাসটি খিলগাঁও কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পৌঁছে। বাস থামিয়ে রাজু রিপনের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। এরপর রাজু তার বাসের হেলপারসহ অন্যদের নিয়ে তাকে (রিপন সরদার) বেধড়ক মারধর করে। তার পকেটে থাকা ১৮শ’ ২০ টাকা নিয়ে যায়। তাকে কমলাপুর ফুটওভার ব্রিজের কাছে নামিয়ে দেয়। সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, রিপন সরদার বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী। তিনি পেশায় বাসের হেলপার। গ্রেফতারকৃত রাজু রিপনের বন্ধু। পেশায় বাস চালক। ৪ মাস আগে রাজুকে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। রাজুর ধারণা রিপনই তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। এমন ধারণা থেকেই রাজু রিপনকে বৃহস্পতিবার রাতে মারধর করে। মারধরের পর সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে কমলাপুর ফুটওভার ব্রিজের কাছে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল কর্মসূচী চলাকালে পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দর্জি দোকানী বিশ্বজিত দাসকে সকালে প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আলোচিত ওই হত্যা মামলায় আদালত ৮ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
×