ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিনেট রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ ব্রেনানের

প্রকাশিত: ০৩:০২, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪

সিনেট রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ ব্রেনানের

সিআইএ ডিরেক্টর জন ও. ব্রেনান বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলনে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ওপর ওই গোয়েন্দা সংস্থার নির্যাতন সম্পর্কিত মার্কিন সিনেটের রিপোর্টের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। এতে তিনি স্বীকার করেন যে, সংস্থার অফিসাররা কয়েদীদের প্রতি ঘৃণ্য আচরণ করেছিল, কিন্তু তিনি ২০০১-এর ১১ সেপ্টেম্বরের পরে হামলা রোধ ও জীবন বাঁচানোর স্বার্থে সামগ্রিকভাবে বন্দী জিজ্ঞাসাবাদ কর্মসূচী সমর্থন করেন। খবর বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস ও ইয়াহু নিউজের। ব্রেনান সন্দেহভাজন আল-কায়েদা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্মম কৌশল অবলম্বন করেছিলেন এমন সিআইএ কর্মকর্তাদের প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি জিজ্ঞাসাবাদকারীদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করেন এবং বিচার দফতরের নিয়মকানুনের বাইরে গিয়েছিলেন এমন অফিসারদেরই কেবল তিরস্কার করেন। ভার্জিনিয়ার সিআইএ সদর দফতরে ভাষণ দেয়ার সময় ব্রেনান সিনেট গোয়েন্দা কমিটির এক সমালোচনামূলক রিপোর্টের সিদ্ধান্তগুলোকে চ্যালেঞ্জ করেন। রিপোর্টে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছিল যে, সংস্থাটির সন্দেহভাজনদের আটক রাখার কর্মসূচী সামান্য পরিমাণ মূল্যবান তথ্যই সংগ্রহ করতে পেরেছিল এবং সিআইএ ওই কর্মসূচীর কার্যকারিতা সম্পর্কে হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসকে বারবার বিভ্রান্ত করেছিল। ব্রেনান বলেন, নির্মম জিজ্ঞাসাবাদ কৌশলের সরাসরি ফলস্বরূপ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগৃহীত হয়েছিল কিনা, এমনকি যদি তা নাও জানা যায়, তবুও ওই কর্মসূচীর প্রয়োজন ছিল। ব্রেনান ওয়াটারবোর্ডিং কষ্টদায়ক অবস্থায় বন্দীদের শিকলে আটকে রাখা এবং তাদের কফিনের মতো বাক্সে তালাবদ্ধ করে রাখার মতো কৌশলগুলোকে নির্যাতনের শামিল বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি তার ৪০ মিনিটের ভাষণ ও প্রশ্নোত্তরকালে নির্যাতন শব্দটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন। তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সিনেটের ওই কমিটির চেয়ারম্যান ডায়ানে ফেইনস্টেইন সেগুলোকে নির্যাতন বলে অভিহিত করেন। ওবামা তার দায়িত্ব গ্রহণের পর সেগুলো নিষিদ্ধ করেন। ব্রেনান বলেন যে, যখন কোন সহজ উত্তর ছিল না তখন সিআইএ অনেক সঠিক কাজ করেছিল। এসব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে হামলা পরিকল্পনা নস্যাত করতে, সন্ত্রাসীদের ধরতে এবং জীবন বাঁচাতে সহায়তা করেছিল। তিনি একথাও বলেন যে, কিন্তু আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, ওই কর্মসূচীর অন্তর্গত ‘এনহ্যান্সড ইন্টারোগেশন টেকনিকস’ (ইআইটিস) যাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল এমন বন্দীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া আমাদের পক্ষে সহজ হয়েছিল। তিনি বলেন, ইআইটিএসের প্রয়োগ এবং পরে বন্দীদের দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের মধ্যে কার্যকারণগত সম্পর্ক আমার মতে অজ্ঞেয়। কিন্তু ব্রেনান সামগ্রিকভাবে ১১৯ জন কয়েদীকে আটক রাখা সমর্থন করেন। কারণ এ পদক্ষেপ অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সিআইএর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করে হত্যা করার পক্ষে সহায়ক হয়েছিল। সিনেট কমিটির ওই গোপনীয় রিপোর্টের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, য্ক্তুরাষ্ট্রের ওপর ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পরবর্তী বছরগুলোতে সন্দেহভাজন আল কায়েদা সদস্যদের নৃশংস কায়দায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তা কাজে আসেনি এবং সংস্থাটি কি করছিল তা নিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তাকে বিভ্রান্ত করেছিল।
×