ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪

উবাচ

সামনে তরুণ, পেছনে খালেদা জিয়া! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের পতন ঘটিয়ে নিজে ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছায় রীতিমতো ব্যাকুল হয়ে পড়লেও রাজপথের আন্দোলনে সামনে থাকতে রাজি নন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। যিনি সামনে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন সেই চেয়ারপার্সনই এখন উল্টো সামনে থাকতে বলছেন তরুণদের। আর নিজে থাকবেন পেছনে। অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের কথিত একটি সংগঠন ‘ব্লু-ব্যান্ড কল’ থেকে বহিষ্কৃৃত কিছু সমমনা তরুণের সঙ্গে দুদিন আগে একটি বৈঠকে ২০ দলীয় জোটনেত্রী যা বলেছেন তাতে এমন ধারণাই হতে পারে। বিএপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেছেন, জালিমদের হাত থেকে দেশ রক্ষায় তরুণদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। দেশ এখন মহাসঙ্কটকাল অতিক্রম করছে; আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে তেমনি দেশের জন্য তরুণ প্রজন্মেরও দায়িত্ব আছে। তোমরাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে, আমরা পেছন থেকে তোমাদের উৎসাহ দেব। তরুণদের অনেকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোটার ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র ফেরাতে রাজপথে নামতে হবে। তোমাদেরই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে মন্তব্য করে বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রী বলেন, তবে আমিও তোমাদের সঙ্গে থাকব। এখনও এত দুর্বল হয়ে গেছি মনে করি না। পারব সে বিশ্বাস আছে। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেছেন, ওরা তো ভীতু। সাহস থাকলে ফেস করত। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মানুষ একটা কিছু করে ফেলত। এসপার-ওসপার করে ফেলত। ফয়সালা করে ফেলত। কিন্তু ভয় পেয়ে আমাকে তিনদিন বাড়িতে আটকে রেখেছিল সরকার। যাতে আমি বাড়ি থেকে বের হতে না পারি। বালির ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছিল। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে বের হতে দেয়া হয়নি। এবার আন্দোলনে আমিও থাকব। আমিও থাকতে চাই। আজ তোমাদের দেখে আমি সাহস পেয়েছি। আমাদের পেছনে দেশের তরুণ সমাজের এমন একটি অংশ আছে যারা দেশকে নিয়ে চিন্তা করে। যাদের হাতে আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ। খালেদা জিয়া বলেন, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। কারও গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকতে নয়। সেটা সত্যিকারের স্বাধীনতা নয়। ব্লু ব্যান্ড কলের পক্ষে বৈঠকে ছিল সংগঠনের মুখপাত্র দাবিদার মোহাম্মদ ফয়েজ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ অর্ধশতাধিক অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট। ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ বিএনপির কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা। হঠাৎ অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক চলতি সপ্তাহে বেশ আলোচনার জন্ম দিলেও নতুন বিপত্তি বেধেছে ওই সংগঠন নিয়ে। খোদ সংগঠনটির পক্ষ থেকে এবার জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘ব্লু ব্যান্ড কলের’ সদস্য হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে মতবিনিময়কারীরা ওই সংগঠনের সদস্যই নয়। বিধি লঙ্ঘনের দায়ে মূল সংগঠন থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তারা নিজেদের ওই সংগঠনের কর্তা বলে দাবি করছে। এমন দাবি করেছেন ব্লু ব্যান্ড কলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য যুবরান গাজী। বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে ব্লু ব্যান্ডের পরিচয়ে মতবিনিময়কে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে যুবরান গাজী বলেন, ব্লু ব্যান্ড কল একটি নিদর্লীয় অনলাইনভিত্তিক সংগঠন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে ব্লু ব্যান্ড কলের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময়ের সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল কোন যাচাই-বাছাই না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে উপস্থিত রেখে এমন অনুষ্ঠান করতে পারে, যা সত্যিই দুঃখজনক। এবারের আন্দোলনে মাঠে সবাইকে চাইÑ খালেদা জিয়া ॥ আন্দোলনের মাঠে নেতাদের না পাওয়ার হতাশা কাটিয়ে উঠতে চান বিএনপি চেয়ারপার্সন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাই বৈঠক হলেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে মাঠে সকলকে নামার তাগিদ দিচ্ছেন। বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা মতবিনিময় করেছেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বেগম জিয়া সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মকৌশল কি হতে পারে সে বিষয়ে মতামত জানতে চান। পরে তিনি নেতাদের বলেন, এবারের আন্দোলনে সবাইকে মাঠে দেখতে চাই। বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল বারী বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আলী রেজাউর রহমান রিপন, সাধারণ সম্পাদক লিটন মাহবুব, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইয়াসিন আলীসহ অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন। এরশাদ আরও একবার ক্ষমতা চান স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাধারে অনেক প্রতিভা এই রাজনীতিক নেতার। যদিও বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর কলঙ্কজনক অধ্যায়ের কোন শেষ নেই। তবে রাজনৈতিক জীবনে তিনি সব সময়ই যেমনি আলোচিত তেমনি সমালোচিত। তবুও নিজেকে ও তাঁর রাজনৈতিক দলকে সব কিছুর উর্ধে বিবেচনা করতে ভালবাসেন। অনেকটা গর্ব করেই এরশাদ বলেন, আমরা সুশাসন বিশ্বাস করি। মানুষ মনে করে জাপার জন্ম না হলে দেশের এত উন্নয়ন হতো না। এখনও মানুষ তাদের মুক্তির জন্য, শান্তিতে ঘুমাতে এরশাদকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে নয় বছর পর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেষ্টার কোন ত্রুটি করনেনি। রাজপথে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনকে যথেচ্ছ কাজে লাগিয়েছিলেন। আন্দোলনে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন কিশোর নূর হোসেন। তখন তাঁর বুকে-পিঠে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক-স্বৈরাচার নিপাত যাক’। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ পালন করলেও এরশাদ এই দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করেন। ডাঃ মিলন হত্যার অভিযোগের তীরও এরশাদের দিকে। তাতে কি? নূর হোসেন ও ডাঃ মিলনের জন্যও মায়াকান্না করেছেন তিনি। তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা না দেয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। আবার গর্ব করে এও বলেছেন, আমার হাতে কোন রক্তের দাগ নেই। মুখে নানা কথা বললেও হয়ত মনে মনে কৃতকর্মের জন্য অপরাধবোধে ভোগেন। এজন্যই হয়ত আবারও বলেছেন, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে জীবনের শেষ সময়ে একবার দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দিন। আমি দেশে শান্তি দেব। স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দেব। ১৯৮৬-৯০ সাল পর্যন্ত শিক্ষিত ও গণতান্ত্রিক সরকার ছিল এমন দাবি করে সাবেক এই সেনাপ্রধান এরশাদ বলেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর সংবিধান ও বিচারবহির্ভূত কাজ শুরু হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে ফের বিচারপতি হয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ। এজন্য তাঁকে একদিন বিচারের কাঁঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এরশাদ রাষ্ট্রপতি হবেন এই আশঙ্কা থেকে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে ভালবেসে নয়, এরশাদকে ভয় করে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সংসদীয় পদ্ধতি আতঙ্কের ফল। আমরা নন্দিত সরকার ছিলাম, নিন্দিত নয়। এরশাদ নূর হোসেনের মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন নূর হোসেনকে নিয়ে কত কথা হয়। অথচ নূর হোসেনের জায়গায় একটা স্মৃতিসৌধও কেউ তৈরি করেনি। রাস্তায় সবাই ফুল দেয়। এই জিরো পয়েন্ট তো আমার তৈরি। আমার তৈরি জায়গায় সবাই ফুল দেয়। পথ জানা নেই ॥ মুহিত স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সমাজ থেকে দুর্নীতি কমাতে হবে এমন মতামতের সঙ্গে মুখে মুখে সবাই একমত। দুর্নীতিকে ‘না’ বলুন এতেও দ্বিমতের কিছু নেই। বাস্তবতা কি তা বলছে? কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর পরও সরকারী অফিস-আদালতে দুর্নীতি না কমায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়েই বলতে বাধ্য হয়েছেন, দুর্নীতি দমনের পথ জানা নেই। সরকারী চাকুরেদের নতুন করে বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়ার মধ্যেই এ মন্তব্য করলেন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সিলেটে একটি নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা ছিল সরকারী অফিসে বেতন কম তাই দুর্নীতি হয়। সরকারের গত মেয়াদে ৬২ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও দুর্নীতি প্রশমিত হয়েছে, বলা যাবে না। এটা খুবই দুঃখজনক। এটা অনেকটা চরিত্রের ব্যাপার! এমন বাস্তবতায় দুর্নীতি দমনের পথও জানা নেই সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রীর। বুধবার টিআই প্রকাশিত ‘দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১৪’ (সিপিআই)-এর তথ্যানুযায়ী এ বছর তালিকায় বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে। বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৪তম। এই হিসেবে গতবছর বাংলাদেশ ১৬তম অবস্থানে ছিল। যদিও বাংলাদেশে দুর্নীতি বাড়ার দাবি নাকচ করে দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আর বিএনপির দাবি, ‘জনপ্রতিনিধিত্বশীল’ সরকার না থাকায় দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, জরিপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দুর্নীতির পরিমাপ করাটা কঠিন। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে আমরা উপরে উঠছি না নিচে নামছি, সেটা বিচার করা খুব সহজ নয়। মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল হলে দুর্নীতি কমে। আমার মনে হয় দুর্নীতি আরও কমাতে অর্থনৈতিক অবস্থার আরও উন্নতি করা দরকার। আমানের মিশন ও ফেসবুকে নানা কথা স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহু হুমকিধমকি আর আল্টিমেটাম দিলেও আজ পর্যন্ত কাজ হলো না। উগ্র মৌলবাদীদের মাঠে নামিয়েও কাজ হলো না। এবার সরকারের পতন ঘটিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটকে ক্ষমতায় বসানোর আশায় নতুন মিশন শুরু করেছেন বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমান। মিশন সফল করতেই নাকি ডাকসুর সাবেক এ ভিপি গেল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। যেখানে আমান বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর শপথ নেবে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য। ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনের নামে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছে মন্তব্য করে আমান হুঙ্কার দিয়েছেন, এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। মেনে নেয়া যায় না। আমরা ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবরের মতো তৎকালীন ও বর্তমান ছাত্র নেতাদের সমন্বয়ে ঢাকায় একটি ছাত্র কনভেনশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৮ ডিসেম্বর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ওই কনভেনশন হবে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে কনভেনশনে উপস্থিত থাকবেন। আমান বলেন, আমরা শপথ নিতে চাই, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলম প্রমুখ। এদিকে বিএনপি নেতার শপথ নিয়ে সরকার পতনের হুঙ্কার দেয়ার ঘটনা রীতিমতো মজার খোরাক জুগিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য মাধ্যমে পাঠকরা পোস্ট করছেন একের পর এক মজার মন্তব্য। ফরিদ ফেসবুকে স্টেটাস দিয়ে বলেছে, প্রবাদ আছে শপথ করাই হয় ভাঙ্গার জন্য। আমান সেই মিশনেই নেমেছেন নাকি? তানভীর বলেছে, জামায়াত সঙ্গে থাকলে কোন শপথেই কাজ আসবে না। সাব্বির তাঁর ফেসবুক পেজে বলেছেন, জনাব আমান আপনার নেত্রীর ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের চেয়ে বেশি হুঙ্কার আপনার কথায় নাই। রাজিব বলেছেন, জনাব আমান, এই দ্রুত সময়ের পরিমাপক ঘড়িটা কি জানতে পারি ? কেননা, খরগোশের সময় মাপার ঘড়ি আর কচ্ছপের সময় মাপার ঘড়ির মধ্যে অনেক পার্থক্য। আকবর মন্তব্য করেছেন, ওহে! ’৯০-এর আন্দোলনের নেতা। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলছেন না কেন ? ওখানে কি গণতন্ত্রের চর্চার দরকার নেই? ওয়াসিম বিএনপিকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, জনাব আমান, এই সরকারের পতন মানে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া নিশ্চিত না, একথা মনে রাখবেন। আর আমান আপনেরেই ত কোনদিন আন্দোলনের মাঠে দেখি না। পালিয়ে থাকেন। আবার এখন হুঙ্কার দিচ্ছেন? মজা দেখালেন ভাই। ইমরান আহমেদ বলেছেন, আপনাদের মুরোদ জানা আছে। এত ফাঁকা আওয়াজ না দিয়া কাজ করে দেখান দেখিÑ কত বুকের পাঠা আপনাদের আছে । খালি টেলিভিশনের সামনেই আন্দোলনের কথা বলেন, আন্দোলন হলে তো আপনাদের রাস্তায় দেখা যায় না। সত্য প্রকাশ তার ফেসবুক পেজে বিএনপিকে সুবিধাভোগীদের প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করে বলেছেন, ওনারা শপথ নিতে চান, এখনও নিতে পারেননি। এ পর্যন্ত কতবার শপথ নেয়া হয়েছে, তার একটি খতিয়ান দেশের মানুষের সামনে রাখা উচিত। ধাক্কা দিয়েই যাচ্ছেন ফখরুল মির্জা স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারকে একের পর এক ধাক্কা দিয়েই যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গ্রহণের পর থেকেই সরকারকে ফেলে দিতে তিনি সভা-সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পেলেই বলছেন, আরেকটা ধাক্কা দিলেই সরকার পতন। কিন্তু কোন ধাক্কাতেই কাজ হচ্ছে না। তবু হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতা। এবার তাই জনগণকে তাঁর সঙ্গে ধাক্কা দিতে বলেছেন তিনি। বললেন, ‘আরেকবার ধাক্কা দিলেই হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে সরকার। ‘সৈরাচারী ছরকার কো অর এক ধাক্কা লাগাদো।’ জাতীয় প্রেসক্লাবে কল্যাণ পার্টির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় মির্জা ফখরুল সর্বশেষ ধাক্কা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.)সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, সাইফুদ্দীন মনি প্রমুখ। সভায় বেশ কয়েকবার একই কথা বলেছেন বিএনপি নেতা। বলেছেন, সরকারকে আরেকবার ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা আজ জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিছিন্ন। আরেকবার ধাক্কা দিলেই এরা হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদকে একটি রাবারস্টাম্পে পরিণত করেছে। একদলীয় সরকার গঠন করেছে। তাই এ সরকারকে হটিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বর্তমান রাজনৈতিক পচা কালচার বন্ধ করে সুষ্ঠু ও সুন্দর রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে হবে। নিশা দেশাই দুই আনার মন্ত্রী আর ড্যান মজেনা কাজের মেয়ে মর্জিনা বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ প্রমাণ করেছেন আমেরিকার সঙ্গে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। তাদের কোন বন্ধু নেই। মজেনা কৃষকের সন্তান স্টাফ রিপোর্টার ॥ হয়ত কেউ বিশ্বাস করুন না করুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজেনা কৃষকের সন্তান! ছোট বেলায় নিজেও বাবাকে কৃষিকাজে সহযোগিতা করেছেন। দুধ আর দই ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী! পারিবারিক কারণেই মন থেকে কখনই সরেনা মাটি, পানি আর কৃষি ও কৃষকের কর্মকা-। তাই এই রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন। উঁচু তলার মানুষ মজেনার খেতে-খামারেও দেখা মেলে প্রায়ই। তিনি অবলীলায় মিশতে পারেন মাটি ও মানুষের সঙ্গে। ছোট বেলার পারিবারিক অবস্থান তুলে ধরতে কুণ্ঠাবোধ নেই তাঁর। রাজনৈতিক দূতিয়ালির কারণে অনেকেই তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট নন। তাতে কী। দূত বলে কথা। যার যা কাজ; তাকে তো তাই করতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। বাস্তব। যৌক্তিক। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বর্তমানে রাজনীতির মাঠে তেমন উত্তাপ নেই। তাই বেশ ফুরফুরে সময় পার করছেন মজেনা। দূত হিসেবে খুব বেশি সময় বাংলাদেশেও নেই তিনি। শীঘ্রই দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করতে এসে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৬৪ জেলায় ঘুরে বেড়ানোর। ইচ্ছা পূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টাও করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি রাজশাহীতে গিয়ে কৃষক সমাবেশে নিজের ও তাঁর পরিবারের কৃষি সম্পর্কিত বিস্তারিত কথা বলেন। চলতি সপ্তাহে নিজের এক লেখায় মজেনা বলেন, ‘আইওয়ার একটি গরুর খামারে বেড়ে উঠেছি আমি। আর আমার এই বড় হয়ে ওঠার দিনগুলো কেটেছে গরুর দুধ ও দইয়ে। শূকরদের খাইয়ে এবং ভুট্টা-যব আর বাড়ির গবাদি পশুদের খাওয়ানোর জন্য খাস জাতীয় আলফানফা চাষ করতে বাবাকে সাহায্য করি। যদিও আমার বাবার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন ছিল না। বাবাকে ধন্যবাদ, তাঁর কারণেই আমার অন্তরে একজন কৃষকের কাজ।
×