ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জানালেন আইনমন্ত্রী

জামায়াত নিষিদ্ধ নয়, যুদ্ধাপরাধী দলের বিচারে আইন হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪

জামায়াত নিষিদ্ধ নয়, যুদ্ধাপরাধী দলের বিচারে আইন হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধে নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় অপরাধী সংগঠন হিসেবে দলটির বিচারের জন্যই আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ’১৯৭৩ সংশোধন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বিশ্বাস করে না, আইন-কানুন মানে না তাদের সঙ্গে সংলাপ দূরের কথা, ভাল-মন্দ কথা বলাও উচিত নয়। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলে কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেনকে এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চলতি ডিসেম্বর অথবা আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাজনৈতিক দলের বিচারের বিধিসম্বলিত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ’১৯৭৩ পরিবর্তনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় উঠবে। নতুন বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরই আইনটি পাস হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বৈঠকে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য সংশোধিত ট্রাইব্যুনাল আইনটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের পর্যায়ে রয়েছে বলেও কানাডার হাইকমিশনারকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না- কানাডার হাইকমিশনার তা জানতে চেয়েছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকমিশনার বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে কি-না। আমি বলেছি, এ রকম কথা বলিনি। এ বিষয়ে তাকে পরিষ্কার করে বুঝিয়েছি, জামায়াতের বিরুদ্ধে একটা তদন্ত হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কিছু মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে জামায়াত সম্পর্কে কিছু তথ্য বের হয়ে আসে, সে আলোকে একটি তদন্ত হয়, তদন্ত প্রতিবেদনও দেয়া হয়। সে পর্যায়ে দেখা গেল যে, সংগঠনের বিচার করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে সেটা সংশোধন করা হচ্ছে। জামায়াত দোষী কি নির্দোষ- সেটা প্রমাণ করার এখতিয়ার একমাত্র আদালতের। আমরা মামলা করব, আমরা একটা পক্ষ। সাক্ষ্যগ্রহণ হবে, আদালত কি রায় দেবেন তা সরকারের জানার কথা নয়। সেটা আমি বুঝেয়েছি। তিনি বলেছেন, সঠিক কথা বলেছেন। মন্ত্রী বলেন, এ আইনের সংশোধন হওয়া দরকার। এ সংশোধন আইনসঙ্গতভাবে হবে। সংশোধন হওয়ার পর বিচার হবে। বিচার হলে পরে দোষী না নির্দোষ সাব্যস্ত করার দায়-দায়িত্ব আদালতের, সেটা তারা করবেন। আইন সংশোধনের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার সায় দেয়ার পরই জানা যাবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ’১৯৭৩ এর এ সংশোধনীর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের দল বলে অভিযুক্ত জামায়াত ও তার সকল অঙ্গ-সংগঠন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগী বাহিনীগুলোর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা সম্ভব হবে।
×