ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি

তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪

তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির একটি মামলায় লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত। বুধবার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন মহানগর হাকিম আতাউল হক। এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মনির খানের দায়ের করা এ মামলায় গত ১৭ নবেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল। আদালতের সেই নির্দেশনা মেনে হাজির না হওয়ায় তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো। তারেককে গ্রেফতার করা গেল কি-না সে বিষয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে আদালতের আদেশে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারমান তারেক রহমান গত ৭ নবেম্বর লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পাকবন্ধু’ আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি ‘পাকিস্তানী পাসপোর্টে’ দেশে ফিরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং এ কারণে তার বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহিতার মামলা’ হওয়া উচিশ। এই বিষয়টি উল্লেখ করে বাদী তার মামলায় বলেন, তারেকের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সম্মানহানি করা হয়েছে। ওই বক্তব্যের কারণে ঢাকা, যশোর ও শেরপুরের আদালতে কয়েকটি মামলা হয়েছে তারেকের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও রয়েছে। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি লন্ডনে কয়েকটি দলীয় সভায় অংশ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি। গত ২৬ মার্চ লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তারেক দাবি করেন, জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। এর দুই সপ্তাহের মাথায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ব্যর্থ’ রাজনীতিক হিসেবে আখ্যায়িত করে নিজের বাবা সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে সফল বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ‘জয় বাংলার’ পর ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন বলেও দাবি করেন তারেক। তারেক রহমানের এসব বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশাপাশি নানা মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেউ কেউ তারেকের ‘মস্তিষ্ক বিকৃতির’ শঙ্কার কথাও বলেছেন। সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমান গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন দুর্নীতির মামলা হয় ওই সময়। সুপ্রীমকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পরের বছর সেপ্টেম্বর মাসে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যান তিনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তখন থেকে সেখানেই রয়েছেন বিএনপির এই সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান।
×