ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলতি মৌসুমে পাবনায় পেঁয়াজ-রসুনের রেকর্ড আবাদ

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

চলতি মৌসুমে পাবনায় পেঁয়াজ-রসুনের রেকর্ড আবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৮ ডিসেম্বর ॥ চলতি রবি মৌসুমে দেশে পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবার উৎপাদন ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে বেশি হবে। অর্থাৎ পেঁয়াজ ও রসুন উৎপাদনের পূর্বের সব রেকর্ড ভাঙার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। গত মৌসুমে পেঁয়াজ উত্তোলনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় বিপর্যয় দেখা দেয়। ঠা-া বৃষ্টির পানিতে ভেজা মাটি থেকে পেঁয়াজ উত্তোলন করেন কৃষকরা। ফলে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায়নি। কৃষকের ঘরে বা মজুদদারের গুদামে পেঁয়াজ পচে যায়। যে কারণে গত বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ার পরও অক্টোবর মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে না পেরে সর্বাধিক পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা পাবনা ও ফরিদপুরের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর বা চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার হেক্টরে উৎপাদন ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। এবার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ১২ হাজার হেক্টরে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। অর্থাৎ ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৭৮ হাজার মেট্রিক টন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হবে আশা করা হচ্ছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পিঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ায় দাম ছিল কেজি প্রতি ১৮ থেকে ২০ টাকায়। বিগত বছরগুলোতে পেঁয়াজের আবাদ কম হওয়ায় এবার বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হয়েছে। অর্থাৎ পেঁয়াজ ও রসুনের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। গত বছর গমের দাম বেশি থাকায় কৃষকরা পেঁয়াজ ও রসুনের পরিবর্তে গম চাষ করেন বেশি। এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। কৃষকরা তাই ঝুঁকেছে পেঁয়াজ-রসুন আবাদে। রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬০ হাজার হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার টন।
×