ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ ১০ ডিসেম্বর শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তাঁর ১/১০ ইকবাল রোডের বাড়িতে বাদ মাগরিব মিলাদ মাহফিল ও পারিবারিকভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও মরহুমের গ্রামের বাড়ি মাগুরার শালিখা থানার মুরুশুনা গ্রামে কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর আল বদর ও রাজাকার বাহিনীর বর্বররা তাঁকে চামেলীবাগের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশার প্রথম শিকার হন সিরাজুদ্দীন হোসেন। শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী ও বার্তা সম্পাদক। ব্রিটিশ আমলের শেষভাগ থেকে শুরু করে তাঁর সাংবাদিকতা জীবন স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত ব্যাপ্ত। ১৯৭১ সালে অবরুদ্ধ এই দেশে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করে গেছেন। সে সময় তাঁর লেখা ‘ঠগ বাছিতে গাঁ উজাড়’, ‘অধূনা রাজনীতির কয়েকটি অধ্যায়’ ধরনের উপ-সম্পাদকীয় এবং ‘এতদিনে’ শিরোনামে সম্পাদকীয় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের সাক্ষ্য দেয়। তিনি প্রবাসী সরকারের কাছে পূর্ব পাকিস্তানের আমেরিকান কনসুলেটের গোপন রিপোর্টটি পাঠিয়েছিলেন, যা পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বার বার প্রচারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে উঠতে সাহায্য করে। শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন এদেশে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জনক। ইত্তেফাকে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ফলে ১৯৬২ সালে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের কুখ্যাত ছেলেধরা দল ধরা পড়ে। মুক্তি পায় ৭২ শিশু। শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন ‘চিনিল কেমনে’, ‘সুকুইজ্জা কডে’, ‘জয় বাংলার জয়’, ‘অবশেষে বাংলার ভাগ্যাকাশ হইতে বাস্তিলের কারাগার ধসিয়া পড়িয়াছে, জনতার জয় হইয়াছে’, ‘বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন’ এবং দুই পাকিস্তানের ভারসাম্যহীনতাকে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করে যে হেডিং করেছেন, তা পাঠককে বিষয়ের গভীরে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। -বিজ্ঞপ্তি
×