ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অন্ধত্ব দূরীকরণ কর্মসূচীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নিতে হবে ॥ স্বাস্থ্

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

অন্ধত্ব দূরীকরণ কর্মসূচীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নিতে হবে ॥ স্বাস্থ্

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অন্ধত্ব দূরীকরণ কর্মসূচীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন ক্যাম্পসেবা দেয়া সম্ভব। প্রয়োজনে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মাসে দুইদিন বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্যা ব্লাইন্ড (বিএনসিবি) এর স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কথা বলেন। সভায় স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম, লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের সাবেক গবর্নর শেখ কবির হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ নূর হোসেন তালুকদারসহ বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের এ সম্পর্কে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে ছানি অপারেশন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করাতে হবে। হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের মাধ্যমে গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ের ছানি অপারেশন উপযোগীদের তালিকা তৈরি করে উপজেলায় বা জেলায় প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব দূরীকরণ কর্মসূচী সরকারী ও বেসরকারী যৌথ অংশীদারিত্বের সফল উদাহরণ। একটি সমন্বিত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে বেসরকারী সংস্থাগুলো সরকারকে এক্ষেত্রে সহযোগিতা করে চলেছে। মন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য বেসরকারী পর্যায়ের সক্রিয় সহযোগিতা আরও বাড়ানো জরুরী। দেশে মাত্র এক হাজার চক্ষু চিকিৎসক রয়েছে। চক্ষুবিশেষজ্ঞ বাড়াতে নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে পড়াশোনায় উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত হিদার ক্রুডেন সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে শক্তিশালী করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আরও কার্যকর করে গড়ে তুলতে কানাডা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম । তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এই অর্জনের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর চিন্তা-ভাবনায় প্রস্ফুটিত কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থার অবদান ব্যাপক। উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সহায়ক শক্তি হিসাবে মা ও শিশুর প্রাথমিক পরিচর্যার পাশাপাশি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বর্তমানে নিরাপদ সাধারণ প্রসব সম্পন্ন হচ্ছে সফলভাবে। গ্রামের প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালমুখী করার জন্য এই ক্লিনিকগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করতে উন্নয়ন সহযোগীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কানাডার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অর্জনের প্রশংসা করে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের মানুষের পুষ্টিমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যে কানাডার অব্যাহত সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামীতে সহায়তা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।
×