ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছাড়পত্র পেল ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ ও ‘ঘাসফুল’

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

ছাড়পত্র পেল ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ ও ‘ঘাসফুল’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চলচ্চিত্র ‘ঘাসফুল’ সেন্সরে ছাড়পত্র পেয়েছে। এর মধ্যে রবিবার ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ চলচ্চিত্রটি সেন্সরের ছাড়পত্র পেয়েছে বলে জানিয়েছে চলচ্চিত্রটির পরিচালক নাট্যকার মান্না হীরা। তিনি আরও জানান, চলতি মাসেই চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেবেন। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র এটি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন, মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, ড. ইনামুল হক, মোমেনা চৌধুরী, মুনসি মজনু, চঞ্চল, চিত্র ছবি, ফিরোজ আল মামুন, সাজু প্রমুখ। এছাড়া শিশু শিল্পীদের মধ্যে আছে, স্বচ্ছ, রুদ্র, শাকিল, অন্তরা, মধুমনি, মুন্না, জুয়েল মিজি প্রমুখ। ছবির চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান, শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ, সহযোগী নির্দেশক এমএ আউয়াল, প্রধান সহকারী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ সোহাগ, সঙ্গীতে সূজয় শ্যাম। মান্নান হীরা বলেন, ডিসেম্বর মাসে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে চলচ্চিত্রটি সেন্সরে জমা দিয়ে ছিলাম। বিনা কর্তনে চলচ্চিত্রর ছাড়পত্র দেয়ায় সেন্সর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। মঞ্চে টিভিতে আমার বহু নাটক নিয়ে কাজ হয়েছে। কিন্তু আমার দীর্ঘদিনের একটা স্বপ্ন ছিল মুক্তিযুদ্ধের ওপর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানাব। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। সরকার একটি চলচ্চিত্র নির্মাণে যে পরিমাণ অনুদান দেয় তাতে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব নয়। তবু সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে নানা ধরনের নানা বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ ছিল তারই প্রতিফলন দেখা যাবে চলচ্চিত্রটিতে। এই চলচ্চিত্রে গল্পের মধ্যে নাটক আবার নাটকের মধ্যে গল্প। এখানে দর্শক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত বর্ষের ক্ষুদিরামকে খুঁজে পাবে। অন্যদিকে সম্প্রতি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের নতুন চলচ্চিত্র ‘ঘাসফুল’। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন আকরাম খান। চিত্রনাট্য মশিউল আলম, আকরাম খান ও লায়লা আফরোজ। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী আসিফ রহমান, শায়লা সাবি, তানিয়া, নীলা আজাদ নূপুর, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, নাজাকাত খান প্রমুখ। চলচ্চিত্রের কাহিনীতে দেখা যাবে ২১ বছর বয়সী তৌকির তাঁর নিজের মফস্বল শহরের রাস্তায় অলিতে গলিতে বিস্ময়ের দৃষ্টি নিয়ে ঘুরে বেরায়। বাড়ির ভেতরে আবছায়ায় তাঁর আগন্তুকের মতো বিচরণ। সে বাড়িতে খুঁজে পায় দাবার বোর্ড-গুটি, মনে করতে পারে না কখনও দাবা খেলত কিনা। স্টোর রুমে খুঁজে পায় হারমোনিকা। হারমোনিকায় ফু দেয় কিন্তু, সুর তুলতে পারে না। বাবা-মায়ের ঘরের সেলফে সে দেখতে পায় পুরনো পারিবারিক ছবির এ্যালবাম। ছবিগুলো দেখে মনে করতে পারে না কখন কোথায় ছবিগুলো তোলা। খুঁজে পাওয়া স্মৃতি চিহ্নগুলো সম্পর্কে বাবা মায়ের কাছে কিছু জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যায়। একদিন তৌকির জিন্সের প্যান্টের পকেটে খুঁজে পায় একটি বিবর্ণ চিঠি। এটা পেয়ে সে প্রচ- দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্মৃতিভ্রষ্ট তৌকির অনেক চেষ্টা করেও চিঠির লেখিকা ‘ঘাসফুল’ এর কথা কিছুতেই মনে করতে পারে না। ‘ঘাসফুল’- এর অনুসন্ধান করতে গিয়ে তৌকির এমন এক স্মৃতির জগতে যাত্রা করে যার অন্তিমে যেন তার পূনর্জন্ম লাভ হয়।
×