ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোলরক্ষক অসীমের বীরত্ব!

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

গোলরক্ষক অসীমের বীরত্ব!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ গোল করেছে ৩৫টি। সে না হয় বোঝা গেল। কিন্তু যখন শুনবেন এর বিপরীতে একটি গোলও হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে, তখন বিস্ময়ের মাত্রা উর্ধমুখী হতে বাধ্য। তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনার মনে নিশ্চয়ই চলে আসবে এই প্রশ্নটি, ‘গোলরক্ষক ছিলেন কে?’ উত্তরটা হচ্ছেÑ গোপ। অসীম গোপ। ফাইনালে ‘অসীম’ বীরত্ব দেখিয়ে অসীম প্রতিপক্ষ ওমানের ৩/৪টি পেনাল্টি কর্নার অসাধারণ দক্ষতায় রক্ষা করে দলকে বাঁচিয়ে দেন নিশ্চিত গোল হজমের কবল থেকে। গ্যালারি উপস্থিত বাংলাদেশী দর্শকরা তো তাঁর খেলা দেখে দুটি শব্দেই মূল্যায়ন করলেন, ‘অ-সা-ম অসীম!’ জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকির এবারের আসরের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশ দলের নিজের জাল দারুণ দৃঢ়তায় আগলে রাখা অসীম গোপ। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে প্রথমস্থান নির্ধারণী ম্যাচে ওমানের বেশকটি আক্রমণ রুখে দেন অসীম। তবে কৃতিত্বের অনেকটা তিনি আবার সতীর্থ ডিফেন্ডারদেরও দিলেন, ‘আমাদের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় আগের ম্যাচগুলোয় আমাকে তেমন একটা আক্রমণ সামলাতে হয়নি। তবে আমিও চাইছিলাম, ফাইনালে যেন নিজেও পরীক্ষায় বসতে পারি। এ কারণে ওমানের বিপক্ষের এ ম্যাচটির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ওদের আক্রমণগুলো ঠেকাতে পেরে ভাল লাগছে।’ গোলকিপিংয়ে এই অভাবনীয় নৈপুণ্য প্রদর্শনের পেছনে কয়েকমাস আগে পাকিস্তানী গোলরক্ষক হকি কোচ মনসুর আহমেদের কাছে ট্রেনিং নেয়ার স্মৃতিচারণ করেন অসীম। ‘এছাড়া ভগবানের আশীর্বাদ আর সতীর্থদের সহায়তা তো ছিলই।’ যোগ করেন তিনি। অসীমের পরবর্তী লক্ষ্য আগামী জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ার্ল্ড হকি লীগ (রাউন্ড-২)’ এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সিনিয়র গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন জাতীয় দলে ফেরায় মূল একাদশে খেলাটা কি কঠিন হয়ে যাবে না? ‘সমস্যা নেই। আমি চেষ্টা করব নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে খেলতে। কে খেলবে, সেটা নির্বাচকদের ব্যাপার।’ ওই আসরের জন্য যেন একজন গোলরক্ষক বিশেষজ্ঞ কোচ রাখা হয়, এটা নাকি জাতীয় দলের নতুন ও মালয়েশিয়ান কোচ গোবিনাথান কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন হকি ফেডারেশনকে, জানালেন অসীম। ‘এই কোচ এলে আগামী জুনিয়র এশিয়া কাপেও আমি উপকৃত হব।’ ইনচনে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে প্রচুর গোল হজম করা অসীম তাঁর গোলরক্ষক ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা আসর ও সেরা মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত করলেন জুনিয়র এএইচএফ কাপ জয়কে, ‘এবারই প্রথম পুরো টুর্নামেন্টে একটি গোলও খাইনি।’
×