ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রাঙ্গামাটিতে ব্রাশফায়ারে চাকমা নারী নিহত ॥ ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

রাঙ্গামাটিতে ব্রাশফায়ারে চাকমা নারী নিহত ॥ ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ৮ ডিসেম্বর ॥ রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার দুর্গম ঘাগড়ার চেলাছড়ার নোয়াধম এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে পথচারী এক উপজাতি নিহত ও এক ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। নিহত মহিলার নাম চুংগুলা ওরফে কালাবী চাকমা (৩০)। আহত ব্যবসায়ীর নাম হরিধন চাকমা (৪৮)। সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানান। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নীলুকান্তি বড়ুয়া সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে দুই সন্তানের জননী এক পথচারী নিহত এবং এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার জন্য জেএসএস ও ইউপিডিএফ একে অপরকে দায়ী করেছে। সূত্র জানায়, ইউপিডিএফ অধ্যুষিত ঘাগড়ার চেলাছড়ার ওই এলাকায় মেলা চলছিল। মেলা দেখতে ঘাগড়ার দেওয়ানপাড়া এলাকার জনৈক শাক্যমনি চাকমার স্ত্রী ওই এলাকায় যায়। ওই দিন সোয়া ১০টায় নোয়াধম এলাকায় একটি চায়ের দোকানে যাওয়ার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত ব্রাশফায়ার করলে ঘটনাস্থলেই চুংগুলা চাকমা (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তার সঙ্গে থাকা হরিধন চাকমাকে (৪৮) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘাগড়া থেকে সেনাবাহিনী এবং কাউখালী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা জেএসএস নেতা সুবাস চাকমা ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তাদের অন্তর্কোন্দলের কারণে নিরীহ পথচারী হতাহত হয়েছে। অপরদিকে ইউপিডিএফের নেতা রাকেল তংচংগা জানান, তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য জেএসএস অতর্কিত ব্রাশফায়ার করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর ঘাগড়াসহ কাউখালীর আশপাশের এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে এই উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা মানিকছড়ি উপজেলায় মানিকছড়ি কলেজিয়েট হাইস্কুলের জনপ্রিয় প্রধান শিক্ষক চিংসা মং চৌধুরী ব্রাশফায়ারে নিহত ও জেএসএস নেতা মংথোয়াইকে গুলি করে আহত করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই ভ্রাতৃঘাতী হত্যাকা-ে এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
×