ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

নেত্রকোনা বোমা হামলা দিবসে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

নেত্রকোনা বোমা হামলা দিবসে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অসুরের বিরুদ্ধে সুরের প্রতিবাদ। সেই সূত্রে চেতনাদায়ী গান দিয়ে সাজানো হয় নেত্রকোনা বোমা হামলা দিবসের প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেত্রকোনা কার্যালয়ে নৃশংস বোমা হামলা চালায় সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। হামলার ভয়াবহতায় প্রাণ হারান নেত্রকোনা জেলা উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুদীপ্তা পাল শেলীসহ আটজন। সেই নিবেদিতপ্রাণ সংস্কৃতিকর্মীদের স্মরণ ও নৃশংসতম হামলার নবম বর্ষপূর্তির দিন সোমবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সঙ্গে ছিল বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে আলোচনাসভা। সাম্প্রদায়িক, জঙ্গী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর মূলোৎপাটনের দাবি জানিয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করা হয় নেত্রকোনা বোমা হামলায় নিহতদের। ‘সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গীবাদ, উপড়ে ফেলো বিষদাঁত’ সেøাগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে। হেমন্তের বিকেলে সুরের আশ্রয়ে উচ্চারিত হয় হারিয়ে যাওয়া বিপ্লবী বন্ধুদের কথা। সারিবেঁধে সংগঠনের শিল্পীরা গেয়ে যায় মুক্তির মন্দির সোপান তলে/কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে/কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা, বন্দীশালার এই শিকল ভাঙা/তাঁরা কি ফিরবে না আর? গান শেষে মঞ্চে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ, ঢাকা মহানগর সংসদসহ বিভিন্ন শাখা ও সংসদের নেতারা। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরসহ কয়েকটি সমমনা প্রগতিশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয় শহীদ বেদিতে। এরপর প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আয়োজনের অংশ হিসেবে পরিবেশিত হয় দলীয় সঙ্গীত। সমবেত সঙ্গীতের মধ্যে ছিল ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা’, ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’, ‘লাখো লাখো হাত ভেঙ্গেছে আজকে ভীরুতা ক্ষীণ’ প্রভৃতি গান। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক মোল্লা। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক, যুব ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল্লাহেল কাফি রতন, কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সাগর, উদীচীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার। জার্মানির ১০ আলোকচিত্রীর প্রদর্শনী ‘অন বর্ডারস’ ॥ জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত অস্টক্রেউজ এজেন্সি আলোকচিত্রীদের সংগঠন। এই সংগঠনের ১০ সদস্যের আলোকচিত্র নিয়ে ‘অন বর্ডারস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যৌথভাবে গ্যঁটে ইনস্টিটিউট ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এ্যাভিনিউয়ের ডেইলি স্টার-বেঙ্গল আর্টস প্রিসিঙ্কটে কাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন অস্টক্রেউজ এজেন্সির সদস্য এবং প্রদর্শনীতে প্রদর্শিতব্য আলোকচিত্র ‘যমজ ও স্তনের সঙ্গে আত্মপ্রতিকৃতি’র স্রষ্টা লিন শ্রোয়েডার। ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বক্তৃতা ॥ মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে সোমবার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। সোমবার সকাল থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় ক-বিভাগের প্রতিযোগিতা। এতে ঢাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বেলা ৩টায় দ্বিতীয় পর্বের প্রতিযোগিতায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ‘চলচ্চিত্রকে নির্দিষ্ট স্থানে বেঁধে রাখা যায় না’ ॥ ‘চলচ্চিত্রকে কোন কেন্দ্র বা কোন নির্দিষ্ট স্থানের ভেতর বেঁধে রাখা যায় না। এবং চলচ্চিত্রকে বিস্তৃত করতে হলে এর ভেতর থেকে কেন্দ্রীয় চিন্তাভাবনা দূরীভূত করতে হবে।’ সোমবার বিকেলে ১৩তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবের ৫ম দিনে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘রিজিওনাল ফোকাস চট্টগ্রাম’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এ কথা বললেন অনুষ্ঠানের বক্তারা। এতে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন ইফসুফ বাচ্চু, উৎসব পরিচালক তারেক আহমেদ, চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন, ‘ফিল্ম মেকারস গিল্ড চট্টগ্রাম’-এর আহ্বায়ক আবু নাইম মাহতাব।
×