ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

উঠে গেল খাতা-কলম, ডিএনসিসিতে ই-টেন্ডার চালু

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

উঠে গেল খাতা-কলম, ডিএনসিসিতে ই-টেন্ডার চালু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেন্ডারে স্বচ্ছতা আনয়নে সিডিউল কেনাকাটাসহ সব কাজে এখন থেকে ই-টেন্ডার পদ্ধতি চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার থেকে ডিএনসিসির সকল টেন্ডারের কাজ কাগজ-কলমের পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক গবর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি) পোর্টালের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী অফিস-২ এবং ৪ নং জোনের কাজ এ পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হবে। আগামী ’১৫ সালের জুনের মধ্যে ৩০ ভাগ ও পরবর্তী অর্থবছরের মধ্যে সকল অঞ্চলে পদ্ধতিটি চালু করা হবে। সোমবার ডিএনসিসি প্রশাসক অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এছাড়া গুলশানের একটি বাড়িতে হোল্ডিং নং স্থাপন করে ডিএনসিসি এলাকার সকল স্থাপনায় ডোর টু ডোর হোল্ডিং গণনা/জরিপ ও নম্বরপ্লেট স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসক ফারুক জলিল বলেন, ই-টেন্ডার কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে টেন্ডার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কাজের গতিশীলতা নিশ্চিত হবে এবং সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে একধাপ এগিয়ে যাবে। এর ফলে টেন্ডার কার্যক্রমে পেশীশক্তির ব্যবহার বন্ধ হবে। এখন থেকে যে কোন ঠিকাদার ঘরে বসেই বা বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে টেন্ডার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। এতে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে। এ প্রকল্প সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নেরই অংশ। এছাড়া সরকারীসহ অন্যান্য অনুদান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন উন্নয়ন সাধন, নগর পরিচ্ছন্ন রাখা, সড়কে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত নিশ্চিতকরণ মশক নিধনসহ যাবতীয় কর্মকা- পরিচালনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে ডিএনসিসি হোল্ডিং জরিপ ও গণনা এবং নম্বর প্লেট স্থাপন কার্যক্রম চালু করেছে। কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় নব দিগন্তের সূচনা হবে এবং নগরবাসীর পক্ষে কর্পোরেশনের সকল সুবিধা প্রাপ্তি বর্তমানের চেয়ে অনেক সহজ হবে। বর্তমান হিসাব মতে ডিএনসিসি এলাকার মোট হোল্ডিং সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিএনসিসি প্রকৃত রাজস্বের পরিমাণ নিশ্চিত করা সহজ হবে। ডিএনসিসি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে তিনি সকল নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিএনসিসি এলাকায় হোল্ডিং নম্বর জরিপ/গণনা ও নম্বর প্লেট স্থাপনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কিছু শর্তাধীনে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি প্রদান করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে প্রত্যাশা উন্নয়ন সংঘ, সুসমাজ ফাউন্ডেশন ও রেডি (যৌথভাবে) এবং ডিজিটালটেক। তারা ডিএনসিসি এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৫ দিনের মধ্যে সকল বাড়ির হোল্ডিং নম্বর স্থাপন করবে। এছাড়া আগামী ৩ মাসের মধ্যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান হোল্ডিং নম্বর গণনা ও নম্বর প্লেট স্থাপন করবে। এর জন্য প্রতি হোল্ডিংয়ের জন্য বাড়ির মালিককে ৩শ’ ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। অতি দ্রুত এসব সংস্থার লোকজন এ কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানানো হয়। উদ্বোধনী দুটি অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক, সচিব আবু সাঈদ শেখ, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গাজী ফিরোজ রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দীন ও সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×