ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গার্মেন্টসে সমস্যা মেটালে বাংলাদেশ হবে এক নম্বর ব্র্যান্ড ॥ মজেনা

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

গার্মেন্টসে সমস্যা মেটালে বাংলাদেশ হবে এক নম্বর ব্র্যান্ড ॥ মজেনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজেনা বলেন, পোশাক কারখানার সকল সমস্যার সমাধান করতে পারলে বাংলাদেশ পৃথিবীর এক নম্বর ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। সেটা আর বেশি দূরে নয়; যতদ্রুত কারখানাগুলোর সেফটি নিশ্চিত করা হবে তত দ্রুত এগিয়ে যাবে। সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিএমইএ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘ঢাকা এ্যাপারেল সামিট-২০১৪ এর দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ সেশন ‘শ্রমিকের ভবিষ্যত : কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও টেকসই উৎপাদন’ শীর্ষক সেমিনারে তাঁরা এসব কথা বলেন। বিজিএমইএর সহ-সভাপতি (অর্থ) রিয়াজ বিন মাহমুদের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন ড্যান ডব্লিউ মজেনা, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ, গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ফারজানা চৌধুরী, অ্যাকর্ড অন ফায়ার এ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক ব্র্যাড লোয়েন ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল এ্যান্ড গার্মেন্টস ওয়াকার্স লীগ (বিটিজিডব্লিউএল) সভাপতি জে এম কামরুল আনাম প্রমুখ। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, রানা প্লাজায় যা ঘটেছে; তা অবিশ্বাস্য। এরকম দুর্ঘটনা পৃথিবীর কোন দেশে ঘটেনি। এটা দেখে আমাদের কারখানার সেফটি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে। যাতে পরবর্তীতে আর কোন রানা প্লাজা আমাদের দেখতে না হয়। এছাড়া তাজরীন ফ্যাশনসের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে অগ্নিনিরাপত্তা সম্পর্কে। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে এক সময় বাংলাদেশই হবে পৃথিবীর এক নম্বর ব্র্যান্ড। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, ১৯৯৬ সালে পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ ছিল শিশুশ্রম বন্ধ করা আর বর্তমানে এ শিল্পের বড় চ্যালেঞ্জ হল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোটামুক্ত ও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া। তিনি বলেন, বিশে^র সবাই এখন বাংলাদেশের এ শিল্পটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সরকার, বিজিএমই, বায়ার, বিনিয়োগকারীসহ সকলের সহযোগিতায় এ শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ পোশাকশিল্প এলাকাগুলোতে ফায়ার স্টেশন বাড়ানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় পোশাকশিল্প রয়েছে যেমনÑ নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬টি ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা প্রয়োজন। ফারজানা চৌধুরী বলেন, পোশাক কারখানায় দুর্ঘটনা রোধে শ্রমিকদেরকে সচেতন করাই হল মুখ্য বিষয়। অ্যাকর্ড অন ফায়ার এ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক ব্র্যাড লোয়েন বলেন, ভবন ও অগ্নিনিরাপত্তা ইস্যুর সঙ্গে জড়িত সরকারী এজেন্সিগুলোর ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরী। জে এম কামরুল আনাম বলেন, পোশাকশিল্পের ৮০ শতাংশ শ্রমিকই তাদের অধিকার, ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা সম্পর্কে অজ্ঞ ও অসচেতন। শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়ন বাদ দিয়ে পোশাকশিল্পের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই এ শিল্পের উন্নয়নে প্রয়োজন শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং ট্রেড ইউনিয়নের প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
×