ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সবজির দরপতনে চুয়াড়াঙ্গায় কৃষকের মাথায় হাত

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ৮ ডিসেম্বর ২০১৪

সবজির দরপতনে চুয়াড়াঙ্গায় কৃষকের মাথায় হাত

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা, ৭ ডিসেম্বর ॥ চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা শীতকালীন সবজি ফুলকপি, পাতাকপিসহ অন্যান্য ফসলের দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে। বর্তমানে সবজির যে বাজার মূল্য তাতে খরচের অর্ধেকও উঠছে না। গত বছর সবজিতে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হওয়ায় এবারও তারা সবজি চাষের দিকে নজর দেয়। কিন্তু এ বছর একই সময়ে সবজি বাজারে উঠায় দাম পড়ে যায়। শীতকালীন সবজির বাজার মূল্য এতটাই কম যে অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি জমিতে বিনষ্ট করছে। অথচ দু’হাত দূরে খুচরা বাজারে ক্রেতাদের ঠিকই দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে মনিটরিংয়ে যেন কেউ নেই। চলতি মৌসুমে বেশিরভাগ কৃষক ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। নাটোরে বেগুনচাষীরা দিশেহারা নাটোর থেকে সংবাদদাতা জানান, নাটোরে এ বছর বেগুনের ফলন ভাল হলেও নায্যমূল্য না পেয়ে দিশেহারা বেগুনচাষীরা। বেগুনের বাজার কম থাকায় অনেক কৃষক তাদের উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে এ অঞ্চলে বেগুনের চাষাবাদ তুলনামূলকভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। দেখা গেছে, ধরাইল, হাতিয়ানদহ, গুনাইখাড়া, লালমনিপুর হাট এলাকায় জমি থেকে বেগুন তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে বেগুনচাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় এ বছর বেগুনের ফলন ভাল হয়েছে। উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না। স্থানীয় বাজারগুলোতে বেগুন মণপ্রতি ২০০ টাকা থেকে সর্Ÿোচ্চ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য খরচ তো দূরের কথা কীটনাশক প্রয়োগের খরচই উঠবে না।
×