ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৈয়দপুরে তিন ব্যাংকের ৬ কোটি টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

সৈয়দপুরে তিন ব্যাংকের ৬ কোটি টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুরে বেসরকারী তিনটি ব্যাংকের শাখা থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ৬০ লাখ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৪ কোটি ও এনসিসি ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দুই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। এছাড়া এনসিসি ব্যাংকের সৈয়দপুর শাখায় ১৪টি মামলা চলমান রয়েছে। অনুসন্ধ্যানে বেরিয়ে এসেছে ইসলামী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখার গুদামে শুঁটকি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ দেয়া হয়। ঋণ পরিশোধ না করেই এক ব্যবসায়ী গুদামে মজুদ শুঁটকি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ব্যাংকের সঙ্গে এ ধরনের প্রবঞ্চনার দায়ে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। ব্যাংকের ওই শাখা থেকে মজুদ শুঁটকি বন্ধক রেখে ব্যবসায়ী সফর আলী মুন্সি ৩৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ঋণ নেন। শর্ত অনুযায়ী ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ না করে ব্যাংকের গুদাম থেকে পণ্য নিয়ে তা বিক্রি করে দিয়েছেন। এনসিসি ব্যাংক সৈয়দপুর শাখা খোলার পর পরই সব নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে ঋণের নামে কোটি কোটি টাকা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পরে এ টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৪টি মামরা হয়েছে। বেআইনীভাবে ঋণ দেয়ার দায়ে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মীর মায়নুর রহমানকে হারাতে হয়েছে চাকরি। শহরের তিন ব্যবসায়ীর কাছে এই ব্যাংকের বকেয়া রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সৈয়দপুর শাখায় ভুয়া গ্রাহকের নামে এলসি খুলে শাখা ব্যবস্থাপক নিজেই আমদানি- রফতানি ব্যবসা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল গফ্ফারের নামে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা গম আমদানির নামে ৪ কোটি টাকা ঋণ দেখান। ব্যবসায়ী আব্দুল গফফার জানান, তিনি কোন গম বা অন্য কোন পণ্য আমদানি করেননি এবং ওই শাখা থেকে কোন ঋণও নেননি। এ ঘটনায় দায়ী ব্যবস্থাপক এনামুল হককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঋণ জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যাংকের দায়ের করা মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ব্যাংক খাতের এসব ঋণ কেলেঙ্কারি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রগুলো বলছে বকেয়া ঋণ আদায়ে মামলা দেয়া আছে। মামলাগুলো জেলা পর্যায়ে ও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে বন্ধকী সম্পত্তি নিলামের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
×