ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় হকারের জমি দখল, এক রাতেই ঘর বানিয়ে বসবাস

প্রকাশিত: ০৭:২১, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

কলাপাড়ায় হকারের জমি দখল, এক রাতেই ঘর বানিয়ে বসবাস

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৬ ডিসেম্বর ॥ পত্রিকা বিক্রেতা সংখ্যালঘু বয়োঃবৃদ্ধ মাখন লাল বৈরাগীর জমি দখল করে সেখানে ঘর তোলা হয়েছে। একই এলাকার জলিল গাজী ও তার ছেলে ছলেমান অন্তত ৩১ শতক জমি দখল করে অসমাপ্ত ঘরটিতে এক রাতের মধ্যে বসবাস শুরু করেছে। এ জমির দখল ঠেকাতে থানা-পুলিশ জনপ্রতিনিধি গণমাধ্যমসহ দ্বারে দ্বারে বছরের পর বছর ঘুরেছেন। কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি। সালিশদারসহ সকল কাগজপত্রে মাখনের বৈধতা থাকলেও কুল-কিনার খুঁজে পাচ্ছেন না এ মানুষটি। জমি ছাড়বেন না, কিন্তু এ জন্য পাঁচ লাখ টাকার জমি একলাখ কুড়ি হাজার টাকায় জলিলকে দলিল করে দিবেন। সালিশদারের এমন সিদ্ধান্তও মেনেছেন মাখনলাল। কলাপাড়া থানার সদ্য সাবেক ওসি এমন সমঝোতা করেছেন। কিন্তু এক টাকাও না দিয়ে জমি দখল করে রাতারাতি ঘর তোলা হয়েছে। জমি দখলের শঙ্কায় এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মাখনলাল কলাপাড়া থানায় জিডি করেছিলেন। যার নম্বর-১০৪৪, তারিখ ২৭.০২.২০১৪। কিন্তু দখল ঠেকাতে পারেননি। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা গ্রামে এ পরিবারটির বসবাস। টুঙ্গিবাড়িয়া মৌজার এসএ ৩৫৫ ও ৪৯১ নং খতিয়ানে এ জমির অবস্থান। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খান জানান, মাখনলালের জমি স্থানীয় মেম্বারসহ শত শত মানুষের উপস্থিতিতে তিনি আরও বহু আগে মাপজোক করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ওই চৌহদ্দি প্রতিপক্ষরা উপড়ে ফেলেছে। জলিল গাজী ও তার ছেলের দাবি তারাও এ খতিয়ানের জমির মালিক। শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীরা দখল করা জমিতে কাঠের স্ট্রাকচার তোলার দৃশ্য দেখলেও রাতে সেখানে মাচার ওপরে আলগা টিনের চাল লাগানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে মাখনলাল এমনটা জানালেন। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি আইনগতভাবে দেখার জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। শঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।
×