ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

॥ এক ॥ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের এগারো বছর অতিক্রম করবেন। অন্যদিকে গত আটাশে সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা তাঁর জীবনের ৬৭ বছর পার করলেন। ইংরেজরা ভারতবর্ষ ছেড়ে যাবার দেড় মাসের মাথায় জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের এই প্রধানমন্ত্রী। জন্মসূত্রে ব্রিটিশ-ভারত নয়, পাকিস্তানের নাগরিক। আমাদের প্রজন্মের আমরা প্রায় সবাই তাই। উপমহাদেশের ইংরেজ শাসন তাঁকে ও আমাদের স্পর্শ করেনি। তবে জীবনের প্রথম সুবর্ণ সময়টি আমাদের পাকিস্তানেই কেটেছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রিত্বের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছর পূর্ণ হবে। পৃথিবীর মানচিত্রে প্রায় অখ্যাত, দুর্নীতির অপবাদগ্রস্ত এবং ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা-খরা ও দারিদ্র্যের জন্য কুপরিচিত এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হলেও এখনই তিনি বিশে^র সাতজন ক্ষমতাবান মহিলার একজন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ তো বটেই, দুনিয়ার ইতিহাসের পাতায় যে ক’জন মহীয়সী নারীর নাম খুব স্পষ্ট করে লেখা থাকবে তিনি থাকবেন তাঁদের একজন হয়ে। কেবল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে বা দেশের একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, তিনি তাঁর নিজের আসনটি পাকা করেছেন নিজের কর্মদক্ষতা ও প্রতিভা দিয়ে। তাঁর মেধা-মনন ও প্রজ্ঞার জন্য বাঙালীরা বঙ্গবন্ধুর পরই তাঁর নাম উচ্চারণ করবে। আমি মনে করি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন, আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা সেই রাষ্ট্রটিকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করে একুশ শতকের জন্য সবচেয়ে উপযোগী এবং জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য একে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলছেন। ফলে পিতা যদি জাতিসত্তা বা রাষ্ট্রের স্থপতি হয়ে থাকেন, তবে কন্যা হচ্ছেন সেই রাষ্ট্রটির ডিজিটাল রূপান্তরের স্থপতি। শেখ হাসিনা ॥ বাঙালী মুসলমান পরিবারের প্রতিনিধি বলা হয়ে থাকে শেখ হাসিনার পূর্ব পুরুষরা আরব দেশ থেকে এই দেশে এসেছিলেন। তাদের শেখ উপাধির সঙ্গে তেমন কিছু একটা আছে বলে শুনেছি। তবে আমি লক্ষ্য করেছি শেখ উপাধি কেবল প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নয়, গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা-বাগেরহাট, সাতক্ষীরা পর্যন্ত ওই অঞ্চলের বহু লোকেরই আছে। তাছাড়া বাইরে থেকে বাংলায় অভিবাসন শুধু তাঁর নয়, আমাদেরও প্রায় সকলেই হয়ে থাকতে পারে। আমাদের পূর্বপুরুষরাও দূরের বা কাছের কোন না কোন অঞ্চল থেকেই এখানে বসতি স্থাপন করে থাকবেন। এমনকি এরই মাঝে দেশের বাইরে তো বটেই, আমাদের কারও কারও দেশের ভেতরেও অভিবাসন রয়েছে। ইদানীং এই অভিবাসন হচ্ছে বিশ^জুড়ে। কারণ বিশ^টা এখন অনেক ছোট। এক সময়ে যে অঞ্চল অতিক্রম করতে মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর সময় লাগত সেখানে এখন মাত্র ঘণ্টার বিষয়। ফলে অভিবাসন এখন অতি সাধারণ চিত্র। তবে বসবাসের অনুকূলতা অভিবাসনের পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে থাকে। জলাভূমি এ অঞ্চলে বিশ^ সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ বসবাস করতে শুরু করেনি। ঐতিহাসিকভাবেই এ অঞ্চলে মনুষ্য বসবাসের ইতিহাস অনেকটাই সাম্প্রতিক। অন্যদিকে সারা দুনিয়াই ধীরে ধীরে আবাদ হয়েছে বরং বসবাসের প্রতিকূল পরিবেশের কারণে এ অঞ্চলটি আবাদ হয়েছে অনেক দেরিতে। বাংলাদেশের আর দশটা মানুষের চাইতে শেখ হাসিনা পারিবারিকভাবে আলাদা একটি মানুষ, তেমন কোন তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। আমার নিজের পর্যবেক্ষণে বরং তাকে আমাদের সকলের পরিবারেরই একজন মনে হয়। মনে হয়, আপনার মায়ের বা মেয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার মিল আছেÑ হয়ত আপনার দাদীর বা নানীর সঙ্গে কিংবা বোনের সঙ্গে শেখ হাসিনার মিল আছে। আমি নিজে তো যতবারই তাকে দেখি, মনে হয় সেই শেখ হাসিনা যিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা ভবনের করিডরে একজন অতি সাধারণ ছাত্রীর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন এখনও যেন তেমনটাই রয়ে গেছেন। মনে হয় এখনও তিনি হাসিখুশি বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, মিছিল করছেন। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি পরা আটপৌরে শেখ হাসিনার সেই রূপটা আমার কাছে আমাদের সকলেই মা-বোনেরই প্রতিচ্ছবি। ফলে আমাদের সকলের পরিবারের সঙ্গে তাঁর পরিবারের অমিল খোঁজে পাওয়াটা কঠিন বিষয়। জাতিগতভাবে আমরা যতটা শঙ্কর তেমনটা তাঁর পরিবারও। নদীবিধৌত পলিমাটির এ দেশে বিশে^র বহু প্রান্ত থেকে মানুষেরা এসে বসবাস করা শুরু করেন। আমার-আপনার ও শেখ হাসিনার পরিবারের জন্য সেই কথাটি প্রযোজ্য। তবে যিনি বা যারাই এখানে আসুন না কেন তাঁরাই মিশে গেছেন এই মাটির সঙ্গে। আমাদের পূর্বপুরুষরাও এখানকার আদিবাসী হোন বা কাছের-দূরের কোথাও থেকে অভিবাসী হোন, মিশে গেছেন এই মাটির প্রতিটি ধূলিকণার সঙ্গে। এই মাটির ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি-কৃষ্টি ও জীবনধারা আমাদের সকলের হয়ে উঠেছে এক। ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে জাতিসত্তা। তবে সবচেয়ে সরল সত্য কথা হচ্ছে, প্রধানত কৃষিনির্ভর এই মাটি থেকে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার মানুষ খোঁজেই পাওয়া যেত না। ইংরেজ আমলে জমিদার, তালুদকার বা ইংরেজদের শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ ছাড়া রাজনীতি নিয়ে ভাবার মানুষ এই পূর্ববাংলায় বিরল ছিল। প্রথমত, রাজনীতির কেন্দ্র তখন ছিল কলকাতা, যার সঙ্গে এ অঞ্চলের তেমন কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া আমরা এ অঞ্চলের মানুষরা শিক্ষায় পিছিয়ে ছিলাম। সে জন্যই সেই দুঃসাহসী মানুষ যার ততধিক অসম সাহস আছে তেমন লোকও আমাদের ছিল না। জমিদার-জোতদার, বাবু-চৌধুরী, নবাবদের বেঁচে থাকা পাইক-পেয়াদা, ইংরেজদের গোলাম এবং প্রভাবশালী নব্যধনীরা তখন রাজনীতি করতেন। কংগ্রেস যাঁরা করতেন তাঁরা সর্বভারতীয় কাঠামোতে রাজ-রাজারা ছিলেন। অন্যদিকে ধর্মের নামে গড়ে ওঠা মুসলিম লীগে মুসলমান ধনীরা যুক্ত হতে থাকেন। রাজনীতিতে দূরের কথা, কলকাতা পড়তে যাবে সেই মানুষই পূর্ববাংলার কোথায় পেতাম আমরা। জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই অর্থে একটি বিশাল ব্যতিক্রম। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া নামক প্রত্যন্ত একটি গ্রাম থেকে তিনি কলকাতায় কেবল শিক্ষাগ্রহণ করতেই যাননিÑ সেখানে গিয়ে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন সেই ধন্য পিতার ধন্য কন্যা শেখ হাসিনা। রাজনীতি তাঁর রক্তে মিশে আছে। রাজনীতি ও প্রধানমন্ত্রিত্ব আজকের শেখ হাসিনা নিয়ে আলোচনা করতে হলে সেটি তাঁর পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হবে নাÑ তিনি আলোচিত হবেন দেশ ও জাতির প্রেক্ষিতে। তিনি কতটা ভাল গৃহিণী, কেমন ভাল রাঁধতে পারেন, সে সব এ আলোচনায় এখন মুখ্য হবে না। যদি তার ঘরকন্না নিয়েও কথা হয় তবে সেখানকার সফলতারও কিছু কিছু বিষয়ের সাক্ষ্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দিতে পারব। তিনি যখন মহাখালীতে তাঁর স্বামীর সরকারী বাসায় ঘর-সংসার করতেন তখন একবার আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর একটি সাক্ষাতকার নেয়ার। সেই সময়ে আমি তাঁকে যেমনটা ঘর-সংসারী দেখেছি তাতে আমার মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। অবশ্য সেটি আমি তাঁকে সত্তর সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই দেখেছি। সংসার করে পড়াশোনা এবং রাজনীতি কেমন করে করা যায়, সেটি শেখ হাসিনার চাইতে ভাল আর কেউ বলতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। যা হোক, ওয়াজেদ মিয়ার স্ত্রী, পুতুল-সজীব ওয়াজেদ জয়ের মা কিংবা একজন বাঙালী গৃহিণীর চাইতে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এখন হাজার হাজার গুণ বড়। ফলে আমরা তাকে বিচার করব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামক দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটি তিনি কেমন চালাচ্ছে এবং প্রায় সাত বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের সাফল্য ও ব্যর্থতা কী, তার প্রেক্ষিতে। প্রায় সবাই জানেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর দশটা মুসলমান বাঙালীর মতো তাঁর বড় মেয়েকে দিয়ে রাজনীতি করাতে চাননি। মেয়ে তো দূরের কথা তখন ছেলেরা রাজনীতি করে না। একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত বাবার মতো তিনি একুশ বছর বয়সে একজন ভাল পাত্র পেয়ে বড় মেয়ে হাসিনাকে বিয়ে দিয়ে দেন। এটি এমন ছিল না যে বিয়ের পর শেখ হাসিনাকে পড়াশোনা এবং রাজনীতি করতে হবে। বিশেষত যার বাবা জেলখানায়, যার মাকে সাহসিকতার সঙ্গে জীবনযুদ্ধ করতে হয় এবং যাকে পুরো সংসার গুছিয়ে চলতে হয় তাঁর জন্য পড়াশোনা করাটা সতি সত্যি দুরূহ ছিল। বিয়ের এক বছর সময়ের মাঝেই সন্তানের মা হবেন এবং মুটিয়ে গিয়ে আর দশটা সাধারণ বাঙালী মেয়ের মতো শাড়ি গয়না নিয়ে পড়ে থাকবেন শেখ হাসিনার জন্য এই ছকটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর জন্য কাটা ছকেই জীবনটা কাটাননি। তিনি কেবল পড়াশোনাটা চালিয়ে যাননিÑ প্রবলভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন। তখনকার দিনে মেয়েরা ছাত্র রাজনীতি বলতে ছাত্র ইউনিয়নকেই বুঝত। শেখ হাসিনা সেই ছাত্র ইউনিয়নের দুর্গে হানা দেন এবং ইডেন কলেজের মতো সেই দুর্গে তিনি বিজয়ীর বেশে ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়তে আসেন। তখনও রাজনীতির গু-িটা তিনি ছাড়েননি। তবে ছাত্র রাজনীতিতে তিনি যেভাবে যুক্ত ছিলেন তাঁর সঙ্গে ওই সংগঠনের একজন সাধারণ কর্মীরই মিল পাওয়া যায়। তিনি যে শেখ মুজিবের মেয়ে সেটি তিনি দেখানোর চেষ্টা করতেন না। তিনি যখন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র তখন বঙ্গবন্ধু এই জাতির অবিসংবাদিত নেতা। কেউ তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে গভীরভাবে দেখলে হয়ত বুঝত যে তিনি শেখ মুজিবের মেয়ে। শিক্ষকরা পর্যন্ত তাঁর নাম না জেনে বুঝত না যে তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। কোন অহঙ্কার, দাপট বা আত্মপ্রচারের লেশমাত্র ছিল না। তাঁর সেই সময়কার যে বান্ধবীরা ছিলেন তাঁদের প্রায় সকলেই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। মুখে দাগওয়ালা রোকেয়া, বিপুল দেহের অধিকারিণী মমতাজ বেগম, শ্যামলা মেয়ে হুসনে আরা হেলেন বা ভাল ছাত্রী রোকসানা সুলতানাকে তিনি আপন আত্মার মানুষের মতো দেখতেন। ভীষণ বন্ধুবৎসল ছিলেন তিনি। এদের কেউ কোনদিন ক্লাসে বা ক্যাম্পাসে না থাকলে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তেন। আমি একটি ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত এখানে উল্লেখ করতে পারি। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের নির্বাচন হবে। বাংলা বিভাগে তখন ছাত্র ইউনিয়ন ভীষণ শক্তিশালী। তিনি যেহেতু ছাত্র ইউনিয়নকেন্দ্রিক ইডেন কলেজে জিতে এসেছিলেন, সেহেতু আমরা তাঁকে প্রার্থী করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু তিনি প্রস্তাব করেন, আমি যেন প্রার্থী হই। আমার নমিনেশন পেপার পর্যন্ত তিনি সই করেন। পওে অবশ্য আমার পরিবর্তে গোলাম মোস্তাফা নামক আরেকজন আমাদের দলের প্রার্থী হন। অথচ তিনি যদি চাইতেন তবে কেবল প্রার্থী নয়, তিনি বাংলা বিভাগের ভিপিও হতে পারতেন। শেখ হাসিনার আরেকটি বড় গুণ ছিল যে তিনি তাঁর ক্লাসমেটই নয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিকতায় মিশতে পারতেন। তাঁর মুখের হাসি কখনও দূর হতো বলে আমি স্মরণ করতে পারছি না। তাঁর মাঝে আরও ছিল সহজাত নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি আলোচনার মধ্যমণিতে পরিণত হতেন। ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : সঁংঃধভধলধননধৎ@মসধরষ.পড়স, ওয়েবপেজ: িি.িনরলড়ুবশঁংযব.হবঃ, িি.িনরলড়ুফরমরঃধষ.পড়স
×