পাহাড় কেটে ইদানীং তৈরি হচ্ছে আবাসন প্রকল্প এবং রবার কারখানা। জানা গেছে, চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানাধীন শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায় তিন একর পরিমাণ পাহাড় ও টিলা কেটে আবাসন প্লট তৈরি করা হচ্ছে। যে প্রতিষ্ঠানটি এই কাজের জন্য মাটি সমতল করছে তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতর থেকে মামলা করা হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় মামলা করার পরও এই পরিবেশবিধ্বংসী কাজটি বন্ধ হয়নি। একটি দৈনিকে তার একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে সম্প্রতি। ওদিকে ৩০ নবেম্বরের দৈনিক জনকণ্ঠে নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় কেছে স্থাপনা নির্মাণের সচিত্র খবর এসেছে। পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ধাবলখালী মার্মাপাড়াসংলগ্ন রাস্তার পূর্বপাশে জনবসতিপূর্ণ এলাকার মাঝখানে কাটা হচ্ছে পাহাড়। ঘর ও রবার কারখানা তৈরির জন্য এই পাহাড় কেটে সমতল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও প্রকাশ্যে সড়কের পূর্বপাশের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এভাবে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি উর্ধতন মহল আমলে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানাধীন শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায় এবং পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিষয়টি যথাযথ পর্যায়ে খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী।
পাহাড় পরিবেশ রক্ষায় ও পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগেও দেখা গেছে কিছু মানুষ পাহাড়ের নিচের অংশ কেটে গৃহ নির্মাণ করে বসবাস করত। অতিরিক্ত বর্ষায় বৃষ্টি নামলেই পাহাড় ধসে পড়েছে। পাহাড় ধসে গত ৫ বছরে ৫ শ’রও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। পাহাড় যারা কাটে তাদের কেউ কেউ এমন প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। তাই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। এজন্য সকলের সচেতনতাও প্রয়োজন আছে। দেশের কোথাও যেন আর পাহাড় কাটা না হয় সে বিষয়ে দায়িত্বশীলদের খেয়াল রাখা প্রয়োজন।