ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোনাল্ডোর হাতে আরেকটি পুরস্কার

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

রোনাল্ডোর হাতে আরেকটি পুরস্কার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সবকিছুই যেন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে লিওনেল মেসির! একের পর এক রাজত্ব হারিয়ে যেন বাকহীন সাবেক ফিফা সেরা ফুটবলার। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে আরও একটি মুকুট হারালেন বার্সিলোনা সুপারস্টার। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টার শোকেসে যোগ করেছেন আরেকটি ট্রফি। ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি গোল করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি এ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্সের দেয়া গৌরবময় এ্যাওয়ার্ড জিতেছেন রোনাল্ডো। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি এ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স প্রতিবছর দিয়ে থাকে বছরের সর্বোচ্চ গোলদাতার এই পুরস্কার। বৃহস্পতিবার রাতে ২০১৩ সালের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত রোনাল্ডোর হাতে এ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়। ট্রফি পেয়েই ইনস্টগ্রামে ভক্তদের জন্য ছবি পোস্ট করেন বর্তমান ফিফা সেরা ফুটবলার। গত বছর রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগালের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ গোল করেন রোনাল্ডো। ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের জন্য ছবি দিয়ে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা জানান ও সবাইকে ধন্যবাদ জানান রোনাল্ডো। সেখানে রোনাল্ডো লিখেন, ২০১৩ সালের সর্বোচ্চ গোলদাতার পর এই পুস্কারটি গ্রহণ করে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ। রোনাল্ডো এর আগে স্প্যানিশ লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ফুটবলেও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালের ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়েও এগিয়ে আছেন ২৯ বছর বয়সী এই মহাতারকা। এর আগে গত অক্টোবরে স্প্যানিশ লা লিগার সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয় করেন রোনাল্ডো। ২০০৮-০৯ মৌসুমে শুরু হওয়ার পর সর্বশেষ পাঁচবারই লা লিগার সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয় করেন মেসি। ব্যতিক্রম ঘটে এবার। মেসিকে হটিয়ে ২০১৩-১৪ মৌসুমের লা লিগার সেরা ফুটবলারের পুরস্কার এলএফপি এ্যাওয়ার্ড জিতে নেন বর্তমান ফিফা সেরা ফুটবলার। শুধু সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারই নয়, সি আর সেভেন বগলদাবা করেন সেরা ফরোয়ার্ড ও সেরা গোলের পুরস্কারও। গত মৌসুমে স্পেনের শীর্ষ লীগে ৩০ ম্যাচে ৩১ গোল করে লা লিগার সেরা পেশাদার ফুটবল এ্যাওয়ার্ড এলএফপি জয় করেন রোনাল্ডো। ২০০৮-০৯ মৌসুমে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকে টানা পাঁচবার এ শ্রেষ্ঠত্ব বাজিমাত করেছিলেন মেসি। এবার দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখান রোনাল্ডো। ২৯ বছর বয়সী তারকা গৌরবময় অর্জনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, আমি অবশ্যই আমার সতীর্থদের পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদ ও আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটি মুহূর্ত। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলীয় কোন পুরস্কার জেতা। তবে আমি ব্যক্তিগত পুরস্কারও পছন্দ করি। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমি অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি। গত নবেম্বরে আরও দুটি পুরস্কার জয় করেন রোনাল্ডো। ২০১৩-১৪ মৌসুমে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে পিচিচি এ্যাওয়ার্ড জয়ের পাশাপাশি অক্ষুণœ রাখেন সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আলফ্রেডো ডি স্টেফানো এ্যাওয়ার্ড। মাদ্রিদে জমকালো আয়োজনে মধ্য দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টারের হাতে পুরস্কার দুটি তুলে দেয়া হয়। চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে আছেন পর্তুগাল অধিনায়ক। আর সব মিলিয়ে চলমান মৌসুমে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন বলেই মনে করছেন সি আর সেভেন। বরাবরের মতোই গোলের পর গোল করে চলেছেন। হ্যাটট্রিক করেছেন এখন পর্যন্ত তিনটি। নিজের ক্লাবকে তুলে দিয়েছেন লা লিগার শীর্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্ব শেষ না হতেই নকআউট পর্বে উঠেছে রিয়াল। দলের এই সব অর্জনেই সবচেয়ে বেশি অবদান রোনাল্ডোর। এবার নিয়ে টানা তিনবার ডি স্টেফানো এ্যাওয়ার্ড জিতেছেন রোনাল্ডো। ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ মৌসুমে লিওনেল মেসি এই পুরস্কার জেতেন। এরপর ২০১১-১২ থেকে শুরু করে এবার ২০১৩-১৪ অর্থাৎ টানা তিন মৌসুম সেরার খেতাব জিতলেন সি আর সেভেন। অন্যদিকে পিচিচি এ্যাওয়ার্ডে বরারবরই আধিপত্য ছিল মেসির। ২০০৯-১০ মৌসুমে প্রথমবার এই খেতাব জয় করেন তিনি। পরের মৌসুমে রোনাল্ডো জেতার পর ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ টানা দুই মৌসুম জেতেন মেসি। এবার আবারও শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করনে রোনাল্ডো।
×