ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

থমকে আছে রাস্তা নির্মাণ পদ্মা সেতুর কাজে বাদ সেধেছে পল্লী বিদ্যুত

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

থমকে আছে রাস্তা নির্মাণ পদ্মা সেতুর কাজে বাদ সেধেছে পল্লী বিদ্যুত

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুর অগ্রগতির কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি। পল্লী বিদ্যুতের অসহযোগিতার কারণে কনস্টাকশন ইয়ার্ডের পণ্য পরিবহনের রাস্তার কাজ থমকে আছে। এ নিয়ে পদ্মা সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলছে ঠান্ডা লড়াই। চার বছর আগে টাকা জমা দিলেও পল্লী বিদ্যুতের অসহযোগিতার কারণে পদ্মা সেতুর কাজ এখন দ্রুত এগুতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগের পদ্মাপারে মালামাল পরিবহনের জন্য মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পদ্মাসেতু রেস্ট হাউসের দক্ষিন পাশ হতে পূর্ব দিকে কনস্টাকশন ইয়ার্ড পর্যন্ত প্রায় ২ কি.মি. একটি রাস্তা নির্মাণ, পুণর্নির্মাণ ও সংস্কারের কাজের পরিকল্পনা হাতে নেয় সেতু বিভাগ। কিন্তু এ রাস্তার পাশে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের বেশ কিছু পুল (খাম্বা)। এই পুলগুলো সরিয়ে নিতে পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি অনুক’লে প্রয়োজনীয় টাকা জমা দেয় ২০১০ সালে। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর অতিবাহিত হতে চললেও পল্লী বিদ্যুত এসব পুল সরিয়ে নিচ্ছে না। অতি সম্প্রতি চার দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েও এসব পুল যথা সময়ে সরিয়ে নেয়নি পল্লী বিদ্যুত সমিতি। নেই নিচ্ছি করে নানা রকম টাল বাহানা করছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এই সেতুর কাজ নিয়ে সরকার যখন দ্রুত এগুতে যাচ্ছে, তখন মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি জেন এ অগ্রগতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, রাস্তাটিতে মাটি ফেলে উঁচু করার ফলে এখন পল্লী বিদ্যুতের তার মানুষের মাথার কাছে চলে এসেছে। রাস্তা আর মাথার উপরের তারের দূরত্ব কমে যাওয়ায় আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এখন এ রাস্তায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বুল ড্রেজারসহ ভেকু ঠেকে যাচ্ছে তারের সাথে। তারের নিচ দিয়ে এসব যন্ত্র চলাচল করতে পারছে না। চলতে গেলেই বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লেগে যাচ্ছে। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে শ্রমিক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাছাড়া এ তারের জন্য থমকে আছে রাস্তার অগ্রগতি। এ রাস্তা দিয়েই কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড হতে সেতুর মালামাল বিভিন্ন স্পটে আনানেয়া করা হবে। তাই অতি প্রয়োজনীয় এ রাস্তার কাজ পল্লী বিদ্যুতের অসহযোগিতার কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পদ্মা সেতুর মূল কাজ। এ নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজের সঙ্গে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের চলছে ঠান্ডা লড়াই। এ ব্যাপারে লৌহজং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শেখ মানোয়ার মোর্শেদ টাকা জমা দেবার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নয়। এটি ঠিকাদারের কাজ। এ কাজের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। তার পরেও পদ্মা সেতুর কাজের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমি নিজে কাজের খোঁজ খবর নিচ্ছি। কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দ্রুতই পুল সরিয়ে প্রতিস্থাপন করে গ্রাহকদের সংযোগ দেয়া হবে।
×