ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১৮ ডিসেম্বর দু’দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

১৮ ডিসেম্বর দু’দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

বাংলানিউজ ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামী ১৮ ডিসেম্বর দু’দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন। ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর তিনি এই দুই দিন দিল্লীতে অবস্থান করবেন। এ সময় তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করবেন। রাষ্ট্রপতির দিল্লী অবস্থানকালে দুই দেশের মধ্যে স্থল সীমানা চুক্তির (এলবিএ) অগ্রগতিসহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ খবর দিয়েছে। কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত সোমবার সে দেশের সরকারের প্রতি তাগিদ দিয়েছে, স্থল সীমানা চুক্তির বিলটি পাস করার জন্য দ্রুত সংবিধান সংশোধন করা হোক। এ বিষয়টি তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার একমতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনে বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিন্তু সম্প্রতি অসম সফরকালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান স্থল সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তার সরকার সর্বাত্মকভাবে কাজ করবে। এরপরই বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। ছিটমহলবাসীরা আশাবাদী হয়ে উঠেন। ছিটমহল সমস্যা সমাধানে সরকারের মধ্যে আশাবাদ তৈরির পর ভারতের সঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দিল্লী যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ভারত সরকারও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে এ বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের তৎকালীন ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারের স্থল চুক্তি বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছিল। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ১৬১টি ছিটমহল বিনিময়ে আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়। এ আলোচনায় সমঝোতা হয় যে, স্থল সীমানা চুক্তির অধীনে ভারত ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। এই ছিটমহলগুলোর আয়তন হচ্ছে, সাত হাজার এক শ’ ১০ দশমিক দুই একর। এ ছাড়া ভারত দুই হাজার সাত শ’ ৭৭ দশমিক ০৩৮ একর জমির মালিকানা বাংলাদেশের কাছ থেকে ও সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে দুই হাজার দুই শ’ ৬৭ দশমিক ৬৮২ একর জমির মালিকানা হস্তান্তর করবে। এদিকে সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি সে দেশের সরকারের কাছে অতিদ্রুত সংবিধান সংশোধন বিল সংসদে এনে পাস করে দিতে বলেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা আগামী বছর (২০১৫) বাংলাদেশ সফরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
×