ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহী নগরীর জনস্বাস্থ্য হুমকিতে

বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে চলছে চাষাবাদ

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৫ ডিসেম্বর ২০১৪

বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে চলছে চাষাবাদ

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ নগরীর শিল্প এলাকার বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ড্রেন গড়িয়ে পড়ছে পবা উপজেলার খালবিল নদীনালায়। নালার ওই পানির অনেক অংশই ব্যবহার হচ্ছে চাষবাদের কাজে। দীর্ঘদিন ধরে ওই পানি দিয়ে চাষবাদ করার ফলে একদিকে জমি যেমন হারাচ্ছে তার উর্বরতা তেমন ওই পানি ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানান ধরনের চর্মরোগ। বিষাক্ত পানিতে দূষিত হচ্ছে পবা উপজেলার সিংহভাগ নদ-নদী খাল বিল। বারণই নদীসহ বিভিন্ন নদীনালায় মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে। এদিকে কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি চাষবাসে ব্যবহার করে উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। এতে অনেক চাষীরা নানান ধরনের চর্মরোগের শিকার। জরুরীভিত্তিতে এই বিষাক্ত পানির প্রবাহ রোধে যুতসই পদক্ষেপ না নিলে উপজেলার অনেক বড় একটি জনগোষ্ঠীসহ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে পরিবেশবাদীরা আশঙ্কা করছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন একটি বড় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সব বর্জ্য পবা উপজেলায় এসে পড়ছে। পানি ট্রিটমেন্ট না করায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। এ বিষয়ে রাসিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিবেশ আইনবিদ সমিটি বেলার রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়বারি তন্ময় স্যানাল বলেন, রাসিক কর্তৃপক্ষকে এর অনেক আগেই সতর্ক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছিল তারা ট্রিটমেন্ট করে পানি নিষ্কাশন করবে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি। তবে রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জানান, বিষয়টি নিয়ে বিসিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীতে কিভাবে এর সমাধান করা যায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা আছে। গলাচিপায় ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় হয়রানি ॥ আদালতে মুক্ত স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় জাল গ্রেফতারি পরোয়ানার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানির চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অরুণ হাওলাদার ও ধীরেন হাওলাদার নামের দু’ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত আদালতের হস্তক্ষেপে হয়রানি থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন। আদালত হয়রানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পূর্ব গোলখালী গ্রামের জিতেন্দ্র হাওলাদারের ছেলে অরুণ হাওলাদারের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ের অটোয়ারী থানার গ্রেফতারি পরোয়ানা পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মাধ্যমে পৌঁছায়। একইভাবে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মাধ্যমে ধীরেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার অপর একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আদালতে পৌঁছায়। গ্রেফতারি পরোয়ানা দুটি গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রেজিস্টারভুক্ত করার সময় সংশ্লিষ্ট আদালতের সিল এবং বিচারকের স্বাক্ষর সঠিক নয় বলে সন্দেহ করা হয়। পঞ্চগড় আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রবিউল ইসলাম খানের দেয়া প্রতিবেদনে অরুণ হাওলাদার ও ধীরেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন মামলা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই বলে জানানো হয়।
×