ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুড়িগ্রামে সড়ক অবরোধ, ধর্মঘটের আল্টিমেটাম

ছাত্রলীগ পদবঞ্চিত গ্রুপের হামলায় কলেজ শিক্ষক আহত

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

ছাত্রলীগ পদবঞ্চিত গ্রুপের হামলায় কলেজ  শিক্ষক আহত

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের হামলায় কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থী এক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। অপরদিকে শিক্ষকরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মৌন মিছিলসহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আবু সাঈদ, আবু তাহের লিটু ও মামনুর রশিদ(হাসান) নামে ৩ ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতা মমিনুর রহমান মুমিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা জোর করে শিক্ষার্থীদের মিছিলে আনা এবং ফরম পূরণ করার চেষ্টা করে। এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মিজানুর রহমান নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দেয়ার পরও জোরপূর্বক ছাত্রলীগের ‘ক্লিন ক্যাম্পাস সেফ ক্যাম্পাস’ এর ফরম পূরণ করতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় রমজান আলীর নেতৃত্বে ৪/৫ক্যাডার তাকে বেদম মারধর করে। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ শিক্ষার্থী। তারা ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করে। পরে শিক্ষক নির্যাতনের বিচার চেয়ে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক অবরোধ করে। এক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করায় এ রুটে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। তবে তারা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল সস্ত্রাসীকে গ্রেফতার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটসহ লাগাতার কর্মসূচী দেয়া হবে। এ ঘটনার প্রতিবাদে অধ্যক্ষ প্রফেসর সাবিহা খাতুনের সভাপতিত্বে শিক্ষক পরিষদের জরুরী সভা বেলা ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতরের দাবি জানানো হয়। পরে তারা মৌন মিছিল করে জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তবারক উল্লাহর নিকট পৃথক দু’টি স্মারকলিপি পেশ করে।
×