ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোজ্যতেল আমদানিতে এক স্তরে মূসক আরোপ হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

ভোজ্যতেল আমদানিতে  এক স্তরে মূসক  আরোপ হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভোজ্য তেল আমদানিতে তিন স্তরের মূল্য সংযোজন করের (মূসক) পরিবর্তে শুধু আমদানি পর্যায়ে মূসক আরোপের সিদ্ধান্ত এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। ভোজ্য তেল আমদানিতে আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে মূসক আদায়ের সিদ্ধান্তটি সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নেয়ার পরার্মশ দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ব্যবসায়ীরা দাবি করেন ভোজ্য তেল আমদানিতে তিন স্তরে মূসক আদায়ের পরিবর্তে শুধু আমদানি পর্যায়ে মূসক আরোপ করা হয়। এরপর সভা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ ব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়। এর সূত্র ধরে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন বৈঠক করে মতামত দেয় ভোজ্য তেল আমদানিতে তিন স্তরে মূসক আদায়ের পরিবর্তে শুধু আমদানি পর্যায়ে মূসক আদায় করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৭ জুন জারি করা এনবিআরের প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও. নং ১৯১-আইন/২০১২/৬৪৯-মূসক অনুযায়ী অপরিশোধিত ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল, পাম অলিন এবং সান প্লাওয়ার তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ হারে মূসক দিতে হয়। তবে এসব পণ্যের আমদানি শুল্ক হার শূন্য। এছাড়া এনবিআরের সাধারণ আদেশ নং ০২/মূসক/২০১৪, অনুযায়ী উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হয় এবং এনবিআরের এস.আর.ও. নং- ২৪২-আইন/২০১২/৬৫৯ মূসক, অনুযায়ী ডিলার বা ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরও ৪ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হয়। এনবিআরের পর্যালোচনা অনুযায়ী এই তিন স্তরে মোট ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য হয়। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী একস্তরে ১৫ শতাংশ হারে মূসক আদায় করলে সরকারের রাজস্ব আদায়ে কোন ঘাটতি হবে না। একই সঙ্গে আপাতত প্রস্তাবিত ব্যবস্থাটি সহজ ও ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী বলেও মত দেয় এনবিআর।
×