স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিষিদ্ধ হওয়ার সময়ই বলেছিলেন বিশ্বকাপে ফিরতে চান। সেই সম্ভাবনা এখন জোরালো। আইসিসিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত পাকিস্তানী তারকা স্পিনার সাঈদ আজমল। মঙ্গলবার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে তারিখ চেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সাবেক গ্রেট সাকলাইন মুশতাকের তত্ত্বাবধানে এ্যাকশন শুধরানো আজমল নবেম্বরে দুটি নিরপেক্ষ পরীক্ষায় অংশ নেন। তাতে কেবল ‘দুসরা’ ছাড়া সকল ডেলিভারির ক্ষেত্রে ইতিবাচক রিপোর্ট আসে। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ৩০ সদস্যের প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়েছে তাকে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এ সংখ্যা ১৫তে নেমে আসবে। তাই এখনই আজমলকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাঠাতে প্রস্তুত পিসিবি। প্রস্তুত আজমল নিজেও। ‘সাকলাইন ভাইয়ের অধীনে এ্যাকশনের উন্নতিতে যারপরনাই সন্তুষ্ট আমি। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে চাই।’ বলেন ৩৭ বছর বয়সী অফস্পিনার। আইসিসির প্রতিশ্রুতি মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ঘরোয়া ম্যাচে খেলার সুযোগ পাবেন অভিযুক্ত ক্রিকেটার। বিশ্বকাপের আগে হাতে সময় খুবই কম। পিসিবির অনুরোধে এখন শীঘ্রই হয়ত পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেবে আইসিসি। গত আগস্টে শ্রীলঙ্কা সফরে গল টেস্টে আজমলের এ্যাকশন নিয়ে ফের সন্দেহ পোষণ করে রিপোর্ট করেন ফিল্ড আম্পায়র ইয়ান গোল্ড ও ব্রস অক্সেনফোর্ড। নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়ার সন্দেহ পোষণ করার ২১ দিনের মধ্যে আইসিসির এ্যাকশন সংশোধনীতে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় ক্রিকেটারকে। ২৫ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে এ্যাকশন পরীক্ষায় অংশ নেন আজমল, তাতেই উতরে যেতে ব্যর্থ হলে অনির্ধারিত সময়ের জন্য নিষিদ্ধ হন পাক তারকা। এর আগে ২০০৯ সালে অভিষেকের কিছুদিন পর একই কারণে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি, পরে এ্যাকশন শুধরে পুনরায় মাঠে ফিরে এসেছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে ৩৫ টেস্টে ১৭৮ ও ১১১ ওয়ানডেতে ১৮৩ উইকেট শিকার করেন। কিংবদন্তিতুল্য সাবেক সাকলাইন মুশতাকের তত্ত্বাবধানে ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কর্তৃক গঠিত বিশেষ কমিটির অধীনে সংশোধন প্রক্রিয়া চলছে তারকা অফস্পিনারের। সর্বশেষ লন্ডনের লাব্রোর পরীক্ষাগারে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ড. মার্ক কিংয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী এ্যাকশনে বেশ উন্নতি হয়েছে। ফলে বিশ্বকাপেই ফের দেশের হয়ে মাঠে নামতে উজ্জীবিত আজমল। মূলত দুসরা ও জোরের ওপর ছোড়া ডেলিভারিতেই সমস্যা বেশি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ১৫ ডিগ্রীর বেশি হাতের কন্ইু বাঁকানো যায় না। কিন্তু বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষায় আজমলের কনুইয়ে গড়ে ৩০ ডিগ্রীরও বেশি বাঁক ধরা পরে।