ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জগ্লুলের মৃত্যু

পান্থপথের মোহনা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২ ডিসেম্বর ২০১৪

পান্থপথের মোহনা হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক জগ্লুল আহমেদ চৌধূরীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রাজধানীর পান্থপথের মোহনা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে সোমবার সকালে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি দল মোহনা হাসপাতাল পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হাসপাতাল) মোশাররফ হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল) এবিএম আবদুল হান্নান পরিদর্শন দলের নেতৃত্ব দেন। পরে আবদুল হান্নান সাংবাদিকদের বলেন, মোহনা কর্তৃপক্ষ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন নিয়ে হাসপাতাল খুলে বসেছিল। তাদের হাসপাতাল চালানোর কোন অনুমোদন ছিল না। তিনি বলেন, হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে ভর্তি রোগীদের সরিয়ে নিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে মোহনা কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মোহনা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন পেলেই চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তারা হাসপাতাল চালাতে পারবে না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জরুরি তদন্ত করার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও তিনি জানান। গত শনিবার রাতে রাজধানীর কাওরানবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর প্রথমে এই মোহনা হাসপাতালেই নেয়া হয়েছিল বাসস সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জগ্লুল আহমেদ চৌধুরীকে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের জানান, জগ্লুল আহমেদ কাওরানবাজারে একটি বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান। আঘাতে তার নাক ও কানের পাশ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। তখন আরও দুই/তিনজনের সহযোগিতায় তাকে পান্থপথ মোড়ে মোহনা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, সেখানে সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষার কথা বলা হয়। আমরা সেই পরীক্ষা করাতে বললে প্রায় ৪৫ মিনিট পর তারা জানায়, এখানে চিকিৎসা হবে না। তারপর তাকে পাশের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
×