ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে বাগেরহাটের রামপাল থানা

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২ ডিসেম্বর ২০১৪

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে বাগেরহাটের রামপাল থানা

অস্ত্র রাখতে হয় খাটের নিচে স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ভাঙ্গা ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে বাগেরহাটের রামপাল থানার কার্যক্রম। অস্ত্রাগার থেকে শুরু করে হাজতখানা কিংবা থাকার জায়গা সবকিছুই ঝুঁকিপূর্ণ। পুলিশ সদস্যদের ভগ্নদশার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। দৃশ্যত অস্ত্রাগার যথেষ্ট সুরক্ষিত নয়। সরেজমিনে জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপাল থানার কার্যক্রম শুরু হয় ব্রিটিশ আমলের ১৯২৪ সালে। প্রাচীনতম পুলিশের এ থানার স্থাপনার নাজুক অবস্থা দীর্ঘদিনের। জীর্ণদশা নিয়েই চলছে এ থানার কার্যক্রম। থানার মালখানার অবস্থাও নাজুক। অস্ত্র রাখার জন্য সুরক্ষিত কোন জায়গাও নেই। রামপাল থানার এসআই ইমারাত হোসেন, হাফিজুর রহমান, কনস্টেবল মিন্টু ম-ল ও সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ডিউটি শেষে তাঁদের অস্ত্র নিজ নিজ খাটের (চৌকি) নিচে বেঁধে রাখতে হয়। শুধু থানা ভবনই নয়, এ থানাটি উপকূলের কাছাকাছি হওয়ায় পরিবেশগত সমস্যারও শেষ নেই। চারদিকে লোনা পানি। তাই ভরসা থানার সামনে একমাত্র পুকুর। রয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। ঝুঁকিপুর্ণ থানা ভবনটিতে পুলিশের থাকার রুমগুলোতে যে ৬টি ফ্যান আছে তাও চলে না। রাতে ঘুমাতে গেলে ভয়ে থাকে পুলিশ, কখন ছাদ ভেঙ্গে তাঁদের গায়ে পড়ে। ভবনটির পাশে রয়েছে ময়লা আর্বজনা তাতে যেন নিংশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। জেলার রামপাল থানা ১০টি ইউনিয়ন ও একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। কিন্তু বিশাল এলাকায় যাতায়াতের জন্য পুলিশভ্যান পর্যন্ত নেই। পুলিশ কর্মকর্তাদের থাকার জায়গাতো দূরের কথা বসার জায়গাও নেই। এ কারণে জনগণকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। এমন হাজারও সমস্যা নিয়ে চলছে বাগেরহাটের রামপাল থানা। এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সমস্যা সমাধান হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। এ সমস্যা দ্রুত সমাধানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন থানায় কর্মকর্তারা। বাগেরহাটের রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, থানা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ, পুলিশ সদস্যদের থাকতে খুব কষ্ট হয়। থানার দরজা, জানালার অবস্থাও খুব খারাপ। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রামপাল থানা নির্মাণ কিংবা সংস্কারের বিষয়টি জরুরী।
×