ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তিস্তা ব্যারাজ এখন প্রকৌশলীশূন্য

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২ ডিসেম্বর ২০১৪

তিস্তা ব্যারাজ এখন প্রকৌশলীশূন্য

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ প্রকৌশলীশূন্য হয়ে পড়েছে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ। যাও একজন ছিল তাকেও স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। প্রকৌশলী না থাকায় আসন্ন সেচনির্ভর বোরো আবাদে তিস্তা ব্যারাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ এক সময় তিস্তা ব্যারাজে পোস্টিং নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের রীতিমত প্রতিযোগিতা ছিল। অপরদিকে এই সেচ প্রকল্প ঘিরে অধিগ্রহণ করা প্রায় আড়াই হাজার একর জমি প্রভাবশালীর হাতে বেদখল হয়ে গেছে। প্রধান সেচ ক্যানেলসহ ব্যারাজের মূল জলধারা কমান্ড এলাকা ও ডানতীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে হাটবাজার ও ইমারত এবং বসতভিটা। অভিযোগ উঠেছে, তিস্তা ব্যারাজে দায়িত্বপূর্ণ কোন কর্মকর্তা না থাকায় বেদখল হয়ে যাওয়া কমান্ড এলাকার জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান থমকে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে তিস্তা ব্যারাজ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে নীলফামারীর ডালিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি ডিভিন রয়েছে। সূত্রমতে দুটি বিভাগে দুইজন নির্বাহী প্রকৌশলী, ৪ জন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ১২ জন শাখা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদ রয়েছে। সোমবার খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৭ মাস থেকে পওর বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদটি শূন্য পড়ে রয়েছে। এখানে কোন নির্বাহী প্রকৌশলীকে পোস্টিং দেয়া হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব রহমানকে এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাঁকে সব সময় রংপুরের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে তিস্তা ব্যারাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অপরদিকে যান্ত্রিক বিভাগে নিয়মিত নির্বাহী প্রকৌশলীর পোস্টি থাকলেও গত ২৭ নবেম্বর এই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার পাম্প হাউসে। তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি এখানে যোগদান করেছিলেন। তাঁর স্থানে কোন নির্বাহী প্রকৌশলীর পোস্টিং দেয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, যান্ত্রিক বিভাগে দায়িত্বে থাকা এর আগের নির্বাহী প্রকৌশলী নিখিল রঞ্জন সোমসহ বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান তিস্তা ব্যারাজের প্রধান জলধারের পলি অপসারণে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন।
×