ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভাঙ্গনের কবলে এশিয়ার বৃহৎ বীজ বর্ধন খামার

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৪

ভাঙ্গনের কবলে এশিয়ার বৃহৎ বীজ বর্ধন খামার

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ শীতেও থেমে নেই পটুয়াখালীর নদী ভাঙ্গন। তেঁতুলিয়া নদীর সর্বগ্রাসী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে দশমিনা উপজেলার চর বাঁশবাড়িয়ায় এশিয়ার সর্ববৃহৎ বীজ বর্ধন খামার। এরই মধ্যে খামারের বিশাল এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আবার চারপাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ না থাকায় মাঝেমধ্যে জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত হচ্ছে খামারের বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে করে খামারটিতে বীজ ও ফসল উৎপাদনসহ অন্যান্য কর্মকা- ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খামারে কর্মরতদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চর বাঁশবাড়িয়ায় এশিয়ার সর্ববৃহৎ এ বীজ বর্ধন খামার স্থাপন করা হয়। খামার স্থাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে- দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার কৃষকদের জন্য প্রতিকূল লবণাক্ত জলবায়ু-সহিষ্ণু বীজ গবেষণা এবং উৎপন্ন করা। পরবর্তীতে পরিবেশ উপযোগী শস্যবীজ উৎপাদন করে তা কৃষকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চল যেমন আবার শস্য ভা-ারে পরিণত হবে। আবার খুব সহজেই খাদ্যে উদ্ধৃত্তে পরিণত হবে দেশ। খামার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দশমিনা উপজেলার চর বাঁশবাড়িয়াসহ সংযুক্ত তিনটি চরের এক হাজার ৪৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২শ’ ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চর বাঁশবাড়িয়ায় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকার উত্তর দিকে প্রায় ৬০ একর জমি এরই মধ্যে তেঁতুলিয়া নদীর গর্ভে চলে গেছে। শীতেও কমেনি নদী ভাঙ্গন। বরং তেঁতুলিয়া নদী সরাসরি সাগরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এতে স্রোতের পরিমাণ যথেষ্ট তীব্র। যে কারণে ভাঙ্গনের কারণে প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে খামার প্রকল্পের জমির পরিমাণ। এছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীর জোয়ারে মাঝেমধ্যে বিশেষ করে অমাবশ্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে গোটা প্রকল্প এলাকা ডুবছে আবার ভাটায় ভেসে উঠছে।
×