ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিবেশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরে ৮২ ইটভাঁটিতে আগুন জ্বলবে না

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৪

পরিবেশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরে ৮২ ইটভাঁটিতে আগুন জ্বলবে না

প্রশাসনের হুঁশিয়ারি নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১ ডিসেম্বর ॥ লক্ষ্মীপুরে ইটভাঁটিসমূহে জ¦ালানি হিসেবে বৃক্ষ নিধনের চলছে প্রতিযোগিতা। এর মধ্যে অধিকাংশ ইটভাঁটিই হচ্ছে, অপরিকল্পিত ড্রাম বা টিনের তৈরি বাংলা চিমনির। জেলায় দেড় শতাধিক ইটভাঁটির মধ্যে প্রায় ৮২টি ইটভাঁটি অবৈধ ড্রাম বা টিনের তৈরি চিমনির। এ সব ইটভাঁটি স্থাপনের আগে মানা হয়নি সরকারের কোন নীতিমালা। ইট তৈরি হচ্ছে, নীতিমালা লঙ্ঘন করে। এ সব ভাঁটির পরিবেশ অধিদফতদরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের কোন অনুমোদন নেই। এ সব ইটভাঁটিয় কয়লার পরিবর্তে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে মজুদ করা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ কাঠ। ফলে ইটভাঁটির পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেখা দিচ্ছে পরিবেশ দূষণ এবং দেখা দিচ্ছে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়। এতে নির্গত বিষাক্ত কার্বন ও কালো ধোঁয়ার ফলে আশপাশের ফসলী জমির ফসল, গাছ পালা মরে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে, ফসল উৎপাদন। দেখা দিচ্ছে শ^াসজনিত রোগসহ নানা মারাত্মক জটিল রোগব্যাধি। অপরদিকে এ সব ইটভাঁটির পোড়ানো কাঠ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করায় জেলার বনজ সম্পদও উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক ইটভাঁটিতে প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানো ও টিনের চিমনি ব্যবহার করার স্থানীয় লোকজন জোরালো অভিযান পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। সে লক্ষ্যে পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে লক্ষ্মীপুরে চলতি বছর এসব অবৈধ ইটভাঁটিগুলোতে আগুন জ্বলতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন বলেন, বাংলা ইটভাঁটি বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বাংলা ইটভাঁটি মালিকদের তা অবহিত করা হয়েছে। প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কোন ব্যক্তি বা সমিতি চাঁদা তুলে থাকেন, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে জেলা প্রশাসক একেএম টিপুু সুলতান বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর আছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার বেঠক করা হয়েছে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে এটি কঠোর হস্তে দমন করা হবে।কাইকে ছাড় দেয়া হবেনা।
×