ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাগ্য সবসময় পরিশ্রমীদের পক্ষে ॥ শারাপোভা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২২ নভেম্বর ২০১৪

ভাগ্য সবসময় পরিশ্রমীদের পক্ষে ॥ শারাপোভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রতিভার বিচারে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নাম্বার তারকা। উচ্চতায় ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। এক দশক আগে সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। উইম্বল্ডন জয়ের মাধ্যমে তখনই নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসেন রাশিয়ান এই গ্ল্যামারগার্ল। চলতি মৌসুমে জিতেছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম গ্র্যান্ডসøাম। বিশ্বের প্রমীলা এ্যাথলেটদের মধ্যে আয়ের দিক দিয়ে সবার শীর্ষে মারিয়া শারাপোভা। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে প্রতিভা, কোর্টের পারফর্মেন্স এবং নিজের অপরূপ সৌন্দর্য ছাড়াও কথা বলেছেন বেশকিছু বিষয়ে। প্রায় দেড় দশক আগে টেনিসে আগমন ঘটে তার। এরপর থেকেই ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করেছেন তিনি। তবে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা নিজের পারফর্মেন্সে দারুণ খুশি। সেইসঙ্গে টেনিস খেলতে পেরে নিজেকে গর্বিত বলেও মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে ২৭ বছর বয়সী মারিয়া শারাপোভা বলেন, ‘অন্যান্য বিষয়ে আমি তেমন দক্ষ নয়। তাই টেনিসটাকে ভাল খেলতে পেরে নিজেকে খুব সৌভগ্যমান মনে হয়।’ টেনিস কোর্টে যেমন প্রতিপক্ষের জন্য হুমকির নাম শারাপোভা তেমনি আরও কয়েকটি বিষয়েও প্রশংসার দাবিদার এই রাশিয়ান সুন্দরী। বিশেষ করে ব্যবসায় এবং মডেলিংয়ে। তবে এছাড়া মারিয়া শারাপোভার আফসোস একজন গ্রেট নৃত্যশিল্পী হতে পারলেন না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একজন ভাল নৃত্যশিল্পী নই। এছাড়াও বেশকিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোতে আমি সেরা নই। আমি পরিপূর্ণভাবে রান্না করতে পারি না। মূলত সময়ের অভাবেই এই কাজে কখনও মনোযোগ দিতে পারিনি। তবে এটা সত্য যে আমি খাবার খুব পছন্দ করি। আমি সত্যিই ভাল একজন রাধুনী হতে চেয়েছিলাম। বিশেষ করে আমার ভবিষ্যত ছেলেমেয়েদের জন্য।’ কেমন খাবার পছন্দ শারাপোভার? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার পরিবেশে আমার দাদিমার খাবার পেয়ে আমি বড় হয়েছি। তাই অবশ্যই আমাকে এটার সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে। তবে রাশিয়ান খাবারের সঙ্গে সালাদ আমার অনেক প্রিয়। কেননা এটা খাবারকে আরও বেশি মজাদার করে তুলে।’ মারিয়া শারাপোভার মতে, সাফল্যের জন্য কঠোর অনুশীলন আর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। কঠোর পরিশ্রমই একজন মানুষকে সৌভাগ্যবান হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এ বিষয়ে তার অভিমত হলো, ‘আপনি যতই বেশি পরিশ্রম করবেন ততই ভাগ্য আপনার পক্ষে কথা বলবে। তবে আমি এটা বিশ্বাস করি যে ভাগ্যের নির্মাতা আপনি নিজেই। আমি যখন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই তখন সেখানকার ছেলেমেয়ের সঙ্গে খেলতে শুরু করি। তখন তাদের দলে আমিই ছিলাম একমাত্র বিদেশী। শুধু তাই নয় বয়সেও আমি ছিলাম অনেক ছোট। আর তখন থেকেই আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিখতে শুরু করি। এ ফলেই শিখলাম কিভাবে নিজের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় আর সাহসী হতে হয়। এক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ কোর্টের পারফর্মেন্স ছাড়াও গ্ল্যামারের কারণেও বিশ্ব টেনিসপ্রেমীদের নজর কুড়িয়েছেন শারাপোভা। অনেকেই মনে করেন কোর্টেও মেকআপ পড়ে খেলতে নামেন তিনি। তবে শারাপোভা সরাসরি জানিয়ে দিলেন, ‘না, আমি যখন কোর্টে খেলতে নামি তখন মেকআপ নেই না। মানুষ আমার সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলে প্রকৃতপক্ষে আমি মনে করি রূপ-সৌন্দর্য বিষয়টা নির্ভর করে আপনি কিভাবে আপনার তœক, ফেস কিভাবে রাখবেন সে বিষয়টার উপর।’
×