ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রিটিশ জনগণের অর্থে চন্দ্র গবেষণা মিশন

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২০ নভেম্বর ২০১৪

ব্রিটিশ জনগণের অর্থে চন্দ্র গবেষণা মিশন

চাঁদের ভূপৃষ্ঠ খনন করে শিলাখ- পরীক্ষার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন একটি সংস্থা। এজন্য সময় লাগবে ১০ বছর। সৌরজগতের উৎপত্তির পর পরই এই শিলাখ- গঠিত হয়। এ ধরনের পরীক্ষা এর আগে কখনও করা হয়নি। ‘লুনার মিশন ওয়ান’ নামের এই প্রজেক্টের জন্য জনগণের কাছ থেকে ৫০ কোটি পাউন্ড সংগ্রহ করা হবে। এর বদলে ডোনাররা তাদের ছবি, টেক্সট, ডিএনএ টাইম ক্যাপসুলে করে চাঁদের মাটিতে পুঁতে রাখতে পারবে। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ান অনলাইনের। এই মিশনের উদ্দেশ্য, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ভূপৃষ্ঠ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেখানে ভবিষ্যতে মানুষের ঘাঁটি স্থাপন করা যায় কিনা। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সংস্থাগুলোর অনুমোদন পেয়ে গেছে এই পরিকল্পনা। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রফেসর ব্রায়ান কক্স, রয়াল এ্যাস্ট্রোনমার লর্ড মার্টিন রিস ও ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মনিকা গ্যান্ডি। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক প্রজেক্টের যুক্তরাজ্য সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও লুনার মিশন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড আয়রন বলেছেন, তিনি এই মিশনের উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ মহাকাশ বিজ্ঞানে অর্থায়ন নিয়ে জটিলতা বাড়ছিল। তিনি বলেন, বিশ্বের যে কেউ এই প্রজেক্টে অংশ নিতে পারবে, তা যত কম অর্থই হোক না কেন। আমাদের গ্রহ ও চাঁদের উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে লুনার মিশন ওয়ান বড় ধরনের অবদান রাখবে। সংস্থাটি আশা করছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই প্রজেক্টের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহের সবচেয়ে বড় ওয়েব সার্ভিস ‘কিকস্টার্টার’ ব্যবহার করে তারা ছয় লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করবে। এর পর আগামী চার বছর জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হবে। এর বদলে তারা চাঁদে অবতরণকারী যানে ডিজিটাল স্টোরেজ স্পেস কিনতে পারবে; যেখানে তারা তাদের ব্যক্তিগত বার্তা, ছবি, গান ও ভিডিও রাখতে পারবে। সেখানে তারা তাদের ডিএনএও পাঠাতে পারবে এবং তা সেখানে ১০০ কোটি বছর টিকে থাকবে বলে দাবি করেছে প্রজেক্ট টিম।
×