ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বদেশ রায়

২০১৩’র গণহত্যার সুপ্রীম নেতা হিসেবে বেগম জিয়ার বিচার নয় কেন?

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৩ নভেম্বর ২০১৪

২০১৩’র গণহত্যার সুপ্রীম নেতা হিসেবে বেগম জিয়ার বিচার নয় কেন?

১৯৪৪ সালের পর জেনোসাইড (গণহত্যা) শব্দটি পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত হয়। এখন গোটা দুনিয়া গণহত্যা শব্দের সঙ্গে পরিচিত। গণহত্যার সংজ্ঞাও কাউকে বলার দরকার পড়ে না। সকলে জানেন যখন কোন ব্যক্তি বা দলের নেতৃত্বে বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যে পরিকল্পিত মানবতাবিরোধী ঘটনা ঘটানো হয় সেগুলো জেনোসাইড বা গণহত্যা। আমরা জেনোসাইডের বাংলা প্রতিশব্দ গণহত্যা করেছি, কিন্তু জেনোসাইডের সার্বিক কাজগুলো গণহত্যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ সম্ভব কিনা ভাষাবিদরা চিন্তা করতে পারেন। কারণ, জেনোসাইডে শুধু পরিকল্পিত হত্যাকা- থাকে না, জেনোসাইড বলতে আরও যে বিষয় বা কাজগুলো বোঝায় তাহলো, এক. একটি আদর্শকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা। দুই. সম্পদ ধ্বংস করে কোন দেশ, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। তিন. কোন বিশেষ আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্যে শিক্ষা বন্ধের চেষ্টা চালানো। চার. কোন বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠী, রাজনৈতিক আদর্শের গোষ্ঠী বা নৃতাত্ত্বি¡ক গোষ্ঠীর স্থানচ্যুত করতে বাধ্য করা বা বাধ্য করার চেষ্টা। পাঁচ. শিশুদের জোরপূর্বক বা অন্য কোন কৌশলে ব্যবহার করা। ছয়. কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে জন্মদানে বাধা দেয়া এবং কারও কোন আচরণ পালনে বাধা দেয়া। এমনি আরও বেশ কিছু মানবতাবিরোধী অপরাধ। বাংলাদেশে ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত বেগম জিয়ার নেতৃত্বে উপরোল্লিখিত প্রায় সব ঘটনা খুবই সুপরিকল্পিত পথে ঘটানো হয়। এ সময়ে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে পরিকল্পিত হত্যাকা- ঘটানো হয় তাতে ৫০৭ জন নিহত হয়। আহত হয় ২২ হাজার ৪শ’ ৭জন। দেশব্যাপী আরও সঠিক জরিপ চালালে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। এই ৫০৭ ব্যক্তিকে হত্যা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ২২ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আহত করার উদ্দেশ্যগুলো অত্যন্ত পরিকল্পিত। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে এই ব্যাপক হত্যাকা- চালানোর উদ্দেশ্য ছিলÑ এক. যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয় ওই চেতনার মানুষদের হত্যা করে তাদের ভীতিগ্রস্ত করে তোলা। দুই. বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষকে হত্যা করা, ভীতিগ্রস্ত করে তোলা ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য ছিল এ কার্যক্রম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষদের হত্যা ও ভীতিগ্রস্ত করে তোলার ভিতর দিয়ে পরাজিত করে এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ব্যাহত করতে পারলে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো। ওই ব্যর্থ রাষ্ট্রের অরাজকতার ভিতর দিয়ে বেগম জিয়া তার সহযোগী আন্তর্জাতিক জঙ্গীগোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে একটি মৌলবাদীদের অভয়ারণ্য তৈরি করতে পারতেন এ দেশকে। এই কাজ অবশ্য তিনি ২০০১ থেকে শুরু করেছেন। মৌলবাদীর অভয়ারণ্য যারা তৈরি করে ওই গোষ্ঠী বা দল প্রধান তাই সে লাদেন হোক আর বেগম জিয়া হোক তারা আর্থিক দিক থেকে অনেক লাভবান হয়। বেগম জিয়ার কোন রাষ্ট্র বা কোন অঞ্চলের ক্ষমতা দখলের মূল উদ্দেশ্য যে অবৈধ পথে সীমাহীন অর্থ রোজগার তার প্রমাণ ২০০১ থেকে ২০০৬। এ সময়ে তার পুত্র তারেক রহমান অফিস খুলে অবৈধ অর্থ রোজগার করেছে। এই অর্থ রোজগারে সে যে আন্তর্জাতিক চোরচালানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে তারও প্রমাণ ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান। ওই ঘটনার যাবতীয় চরিত্র, মামলার সাক্ষী ও আসামিদের বক্তব্য পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, গোটা রাষ্ট্রটিকে তখন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এক করা হয়েছিল। এগুলোর ভিতর দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়। আন্তর্জাতিক চোরচালানের সঙ্গে যে সব ছোট ছোট রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র পরিচালকরা জড়িত থাকে এদের নিয়ে অনেক গবেষণা আছে। ওইসব গবেষণা থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, বেগম জিয়া বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তার মূল লক্ষ্য এমনকি ‘১৩’র হত্যাকা-ের উদ্দেশ্য ওই সব ক্রিমিনাল রাষ্ট্রপরিচালকদের উদ্দেশ্য একই। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে এই যে হত্যাকা-গুলো ঘটেছিল এগুলোর চরিত্র একটু বিশ্লেষণের প্রয়োজন। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে পেট্রোলবোমা মেরে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল ২৩ ব্যক্তিকে। আগুনে পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করা হয়েছিল শতাধিক ব্যক্তিকে। এই আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ও আহত করার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের স্বাধীন চলাচল নিষিদ্ধ করা ও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অর্থাৎ একটি রাজনৈতিক আদর্শ ধ্বংস করা। তারা যে মানুষের স্বাধীন চলাচল বন্ধ করে দেশ ও দেশের মানুষকে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তার আরও প্রমাণ দেশবাসী জানেন। ওই সময়ে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ করার জন্যে তারা রেলে নাশকতা ঘটায় ৩৯৮টি। এছাড়া এক হাজারের বেশি সাধারণ যানবাহন পুড়িয়ে ধ্বংস করে। ভাংচুর করে সাড়ে তিন হাজারের বেশি যানবাহন। হত্যা করে ৫৫ পরিবহন শ্রমিককে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জেনোসাইডের সংজ্ঞা অনুযায়ী এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ওই সময়ে পুলিশ হত্যা করা হয় ১৫ জন ও বিজিবি হত্যা করা হয় ২ জন। পুলিশ আহত হয় ২ হাজার ৪শ’ ৫৭জন। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীর সদস্যও তারা হত্যা করে। শুধু এখানেই শেষ নয়, ফটিকছড়িতে একটি নৃশংস গণহত্যা ঘটানোর পর বেগম জিয়ার দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার সাদেক হোসেন খোকা প্রকাশ্য মিটিং-এ ঘোষণা দেন, সারাদেশকে ফটিকছড়ি করা হবে। হিটলারও প্রকাশ্য জনসভায় এভাবে গণহত্যা ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন এমন কোন তথ্য অন্তত আমার জানা নেই। ফটিকছড়িতে তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ লোকদের হত্যা করেছিল। তাই বেগম জিয়ার দলের নেতার ঘোষণা অনুযায়ী তারা সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে পুলিশ ও বিজিবিÑ রাষ্ট্রীয় বাহিনী। প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের কর্মচারী। রাষ্ট্র তাদের দায়িত্ব দিয়েছে রাষ্ট্রের মানুষ ও সম্পদ রক্ষার। রাষ্ট্রের মানুষ ও সম্পদ বেগম জিয়ার নেতৃত্বে যখন ধ্বংস করা হচ্ছিল ওই সময়ে পুলিশ ও বিজিবি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিকল্পিত। এই হত্যাকা-ের ভিতর দিয়ে বোঝা যায় তারা রাষ্ট্রটিকে ধ্বংস করার জন্যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এ হত্যাকা-গুলো জেনোসাইড। সাধারণ কোন হত্যাকা- নয়। অন্যদিকে এ মুহূর্তে সারা বিশ্বে ইসলামী মৌলবাদী সংগঠনগুলো যে গণহত্যা চালাচ্ছে তাদের হামলার একটি বড় লক্ষ্যবস্তু দেখা যাচ্ছে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নাইজিরিয়ায় বোকোহারাম গত সপ্তাহেও আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উড়িয়ে দিয়েছে এবং ৫০-এর অধিক শিক্ষার্থী হত্যা করেছে। বাংলাদেশেও বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ও ১৪ সালের জানুয়ারিতে সারাদেশে ৫৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়। কোন জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনরূপ বাধা সৃষ্টিও জেনোসাইড বা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এছাড়া বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ২০১৩ সালে সারাদেশে সহিংসতার সময় দেখা গেছে বিভিন্ন হামলা, আগুন দেয়া বা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সময় সামনে শিশু ও নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালাতে না পারে। শিশু ও নারীদের এভাবে জোরপূর্বক সহিংস কাজে ব্যবহার করাও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে এ দেশে তা ঘটেছে। এছাড়া যে কোন গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীর ওপর হামলা করে তাদের হত্যা বা স্থানচ্যুত কখনও দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি অবধি সারাদেশে ১০ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে হত্যা করা হয়। তাদের একমাত্র অপরাধ তাদের ধর্ম হিন্দু। হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করা হয় ১৮৪ জনকে। সারাদেশে ৯শ’রও বেশি মন্দিরে হামলা ও লুটপাট করা হয়। বসত বাড়িতে হামলা করা হয় ৫শ’-এর ওপরে। ৮শ’র অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৪-এর জানুয়ারি অবধি বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ বা জেনোসাইড সংঘটিত হয় সংক্ষেপে তার বিবরণ এমনই। পরিপূর্ণ তদন্ত করলে এ চিত্র আরও ভয়াবহ হবে। তারপরে এই সংক্ষিপ্ত চিত্র আন্তর্জাতিক অনেক বড় বড় গণহত্যার থেকেও ভয়াবহ ও অনেক ভয়ঙ্কর প্রকৃতির। এ ধরনের গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ করার পরে সুপ্রীম নেতা হিসেবে বেগম জিয়া কোন-মতেই বিচারের আওতার বাইরে থাকতে পারেন না। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র যদি গণতন্ত্র রক্ষা করতে চায়, যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাহলে বেগম জিয়াকে এ অপরাধের অভিযোগে অবশ্যই মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্যে দাঁড় করাতে হবে। বাংলাদেশ যতদিন না অবধি এ কাজ করবে ততদিন বাংলাদেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র স্থিতিশীল হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পরে দেশে অনেক কিছু ঘটেছে; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আজ বুঝতে পারছে দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতার জন্যে এ বিচার কতটা দরকার। বেগম জিয়াকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো একই কারণে প্রয়োজন। বেগম জিয়াকে যে এই গণহত্যার দায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের কাঠগড়ায় নেয়া দরকার তা যুদ্ধাপরাধী আলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর রায়ের ভিতর দিয়ে প্রমাণিত। কারণ, আলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী যেমন সুপ্রীম নেতা হিসেবে বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য সর্বোচ্চ দায়ী ২০১৩’র মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্যে ২০ দলীয় জোটের নেত্রী হিসেবে বেগম জিয়াও ঠিক একইভাবে দায়ী। বিএনপি অবশ্য ইতোমধ্যে বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। যে কারণে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত বিএনপির অনেক নেতা ইতোমধ্যে দেশ ছেড়েছে। তাছাড়া বিএনপির পক্ষের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা এখন সারক্ষণ মিডিয়াতে একটি বিষয় প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে, ওই সহিংসতার জন্যে এককভাবে জামায়াত দায়ী ছিল। তাদের বক্তব্য যে অসার তার জন্যে দুটো প্রমাণই যথেষ্ট, এক. সাঈদীর রায়ের পরে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে বেগম জিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে তার সহিংসতার পক্ষে জোটের সকলকে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেন। গণজাগরণ মঞ্চের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তরুণ প্রজন্মকে ‘নষ্ট ছেলেমেয়ে’ বলে সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস বা হত্যা করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ৫ মের হেফাজতের ঘটনার রাতে বেগম জিয়ার ঘোষণা ও সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যর ছাপা কপি এবং ভিডিও আছে। সেখানেও তিনি কীভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তা পরিষ্কার। এর পাশাপাশি প্রতিটি সহিংস ঘটনার পরে ও আগে তিনি ও তার দলের নেতারা কী বলেছেন সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ এবং পত্রিকায় প্রকাশিত অংশ আছে। তাই এ সত্য নিয়ে পানি ঘোলা করার কোন উপায় নেই। বরং এখন বাংলাদেশকে স্থিতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হলে আইনের নিজস্ব গতিকে আরও বেগবান করতে হবে। অবশ্যই দ্রুত ২০১৩’র এই মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল নেতাসহ সকল নেতাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। [email protected]
×