ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুর পাসপোর্ট অফিসে

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১৩ নভেম্বর ২০১৪

শরীয়তপুর পাসপোর্ট অফিসে

নিজস্ব সংবাদদাতা শরীয়তপুর থেকে জানান, শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে চলছে প্রকাশ্যে ঘুষ-বাণিজ্য। পাসপোর্ট অফিসের কয়েক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের নিয়োগকৃত দালালদের সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতীত অতিরিক্ত ১২০০ টাকা না দিলে পাসপোর্ট মিলছে না। প্রকাশ্যেই নেয়া হচ্ছে এই অতিরিক্ত টাকা। ক্ষেত্র বিশেষ এ ঘুষের টাকার অঙ্ক আরও বেড়ে যায়। অফিস কর্তৃক নির্ধারিত এ টাকা দিতে না পারলে নানান ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পাসপোর্ট গ্রাহকদের। পাসপোর্ট অফিসের কয়েক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এক শ্রেণীর দালালের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। জানা গেছে, শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের মাধ্যমে মেশিন রিডবল পাসপোর্ট করানোর কাজ শুরু হয়েছে গত ১৮ জুন থেকে। শুরু থেকেই পাসপোর্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চিহ্নিত কিছু দালাল পাসপোর্ট করতে আগ্রহী নাগরিকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতীত প্রকাশ্যে প্রতিটি পাসপোর্টের বিপরীতে ১ হাজার থেকে শুরু করে ১ হাজার ২শ’ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। পাসপোর্ট আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, ১ মাসের মধ্যে স্বাভাবিক পাসপোর্ট করার জন্য ব্যাংকে ৩ হাজার ১শ’ টাকা জমা দিতে হয় এবং ১৫ দিন মেয়াদের মধ্যে পাসপোর্ট করার জন্য ব্যাংকে জমা দিতে হয় ৬ হাজার টাকা। পাসপোর্ট গ্রাহক মোঃ জাকির হোসেন, মনিরুল ইসলাম, মোকসেদ মিয়া ও মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন ধরনের ভুলভ্রান্তি ও কাটা ছেঁড়ার অজুহাত দেখিয়ে কর্মকর্তারা পাসপোর্টের ফরম ফেরত দিয়ে দেয়। পরে ১ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিলেই সব ঠিকঠাক করে পাসপোর্ট দিচ্ছে তারা। শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন যে, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচতলাতে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। আমার অফিসের কোন লোক গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে না। দালাল প্রতিরোধ করার জন্য আমরা অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাহায্য নেব। স্থানীয় সম্পদ তহবিলে টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক রাম চন্দ্র দাস বলেন, সব জেলাতেই পাসপোর্ট করা থেকে এলআর ফান্ডে কম-বেশি টাকা আদায় করা হয়। আমরা অনিয়মিতভাবে কিছু টাকা নিচ্ছি। এটা সরকারী বিভিন্ন কর্মসূচীতে ব্যয় করা হয়।
×