ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুবহানের বিরুদ্ধে চার্জের যুক্তিতর্ক শেষ

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৩ নভেম্বর ২০১৪

সুবহানের বিরুদ্ধে চার্জের যুক্তিতর্ক শেষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে চার্জের ওপর যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। রবিবার থেকে আইনী পয়েন্টের ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পলাতক জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২৩তম সাক্ষী রবিউল আনাম খান জবানবন্দী প্রদান করেছেন। রবিবার থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দীর জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে রবিবার আইনী পয়েন্টের ওপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনাল অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। রবিবার আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে আইনী (লিগ্যাল পয়েন্টে) বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। বুধবার ষষ্ঠ দিনের মতো চার্জের ওপর যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, তাপস কান্তি বল ও রিজিয়ার পারভীন চমন। অপরদিকে আসামি আব্দুস সুবহানের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক, মুহাম্মদ শিশির মনির, রায়হানুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠনসহ ৯টি সুনির্দিষ্ট ঘটনার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। আব্দুল জব্বার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পিরোজপুরের জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে ২৩তম সাক্ষী মোঃ রবিউল আনাম খান জবানবন্দী প্রদান করেছেন। রবিবার এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিনের জবানবন্দীর জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। সাক্ষী তাঁর জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম রবিউল আনাম খান। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৪৭ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম- যাত্রাসিদ্ধি, উপজেলা- গফরগাঁও জেলা- ময়মনসিংহ। আমি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে ক্যাটালগার হিসেবে কর্মরত আছি। আমি গত ২৩-৯-২০১৩ তারিখে অফিসে কর্মরত ছিলাম। ঐ দিন বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন আমাদের অফিসে যান। তিনি আমাদের অফিসে গিয়ে ২০০১ সালের ২৩ জানুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার কপিটি দেখতে চান। তখন আমরা আমাদের অফিসে রক্ষিত ঐ পত্রিকার কপিটি তাকে দেখতে দেই। তিনি ঐ পত্রিকাটির পর্যালোচনা করে পত্রিকায় প্রকাশিত মঠবাড়িয়ার ৮ মেধাবী ছাত্রসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে জব্বার ইঞ্জিনিয়ার বাহিনী একটি সংবাদ স্ক্যান করেন। তিনি আরও বলেন, আমি উক্ত স্ক্যান করা কপিটি সত্যায়িত করার পর তিনি জব্দনামা মূলে তা জব্দ করেন। এবং মূল পত্রিকাটি আমার কাছে জিম্মা প্রদান করেন। এই সেই জব্দকৃত পত্রিকার স্ক্যান কপি, যা প্রদর্শনী-১ হিসেবে চিহ্নিত হলো। এই আমার জবানবন্দী।
×