ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবাসীর স্ত্রীর মর্যাদা পেতে হবিগঞ্জে অনশনে গাইবান্ধার শাহানা

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১২ নভেম্বর ২০১৪

প্রবাসীর স্ত্রীর মর্যাদা পেতে হবিগঞ্জে অনশনে গাইবান্ধার শাহানা

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ১১ নবেম্বর ॥ ওমান প্রবাসী প্রেমিকের স্ত্রীর মর্যাদা পেতে হবিগঞ্জের উপজেলা বাহুবলের পল্লী ডুবাওয়ে অনশন শুরু করেছে গাইবান্দার সাহসী তরুণী শাহানা খানম পারভীন। একটানা তিন দিন প্রেমিকের বাড়ির সামনে এই অনশন অব্যাহত থাকলেও সংশ্লিষ্ট আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় পজেলা-পুলিশ প্রশাসন নীরব রয়েছে। ফলে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় শুরু হয়েছে নানা মুখরোচক আলোচনা। পুলিশ ও অনশনরত পারভীন মিডিয়া কর্মীদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে জেলার ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুল খালিক ওরফে সারফিন ওমানে থেকে চাকরি করছেন। প্রায় ৫ বছর আগে টেলিফোনে ক্রস কানেকশনের সুবাধে গাইবান্দা জেলা সদরের বিএইচ রোডস্থ কালীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা এরশাদ আলী ম-লের মেয়ে পারভীনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে সারফিনের। তারপর থেকে উভয়েই টেলিফোনে আলাপচারিতা অব্যাহতের মাঝেই গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত গড়ায় স্কাইপে। এক পর্যায়ে টেলিফোনে উভয়ের বিয়ে হয়। ৩ বছর আগে সারফিন দেশে এসে পারভীনকে নিয়ে হানিমুনে গিয়ে বাসরও শেষ করে। পরবর্তীতে সারফিন ওমানে চলে যায়। এ সময়ও উভয়ের মধ্যে চলতে থাকে কথোপকথন। সম্প্রতি সারফিন দেশে ফিরে আসে। এ খবর পেয়ে পারভীন ফোন করলেও তাকে এড়িয়ে যেতে থাকে সারফিন। ফলে পারভীন স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে গত ৭ নবেম্বর গাইবান্দা থেকে ছুটে আসে হবিগঞ্জের সারফিনের ওই বাড়িতে। এ সময় সারফিন গা ঢাকা দেয়। এমনকি পারভীন স্ত্রী দাবি করলেও সারফীনের আত্মীয়-স্বজনরা তাতে কর্ণপাত না করায় ওই দিন থেকেই সে অনশন শুরু করে। পারভীন জানিয়েছে, স্ত্রীর দাবি মেনে না নিলে সে আত্মহত্যাও করতে পারে। এমতাবস্থায় পুলিশ বলছে, বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমান্য ব্যক্তিবর্গ শেষ করার কথা জানানোয় তারা অগ্রসর হচ্ছে না। গৃহবধূর ইজ্জতের মূল্য ১২ শতক জমি! সংবাদদাতা চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা থেকে জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক গৃহবধূর ইজ্জতের মূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে গ্রাম্য সালিশদাররা। প্রভাবশালীদের ভয়ে ওই গৃহবধূ মুখ খুলতে পারছেন না। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে। নির্ধারিত সময়ে জরিমানা পরিশোধ করতে না পারায় ধর্ষিতাকে ১০ নবেম্বর সোমবার ১২ শতক জমি দেয়া হয়েছে। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে এ খবর জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের সামছুল হকের ছেলে কাশিনগর বাজারের কাপড় দোকানের কর্মচারী সাহাব উদ্দিন গত ৭ নবেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী বাড়ির এক প্রবাসীর স্ত্রীকে (৩৪) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ধর্ষক সাহাব উদ্দিনকে আটক করে। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য পরদিন সন্ধ্যায় ওই গ্রামের মাতবর মাওলানা মনির হোসেনের সভাপতিত্বে একটি সালিশ বসে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑমাতবর আলী হোসেন, আবুল কাশেম, বাচ্চু মিয়া, ফজর আলী, ফারুক হোসেন, ভুট্টু মিয়া, ওয়াসিম, ধর্ষকের চাচা আবদুস সোবহান। সালিশে তিন শ’ টাকার স্ট্যাম্পে ধর্ষকের ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা নগদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে ধর্ষক ১২ শতক জমি ধর্ষিতার নামে লিখে দেয়। সালিশের সভাপতি মাওলানা মনির হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইলটি (০১৮১৩৯৪৯৯৬৯) বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
×