ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দুই দিন পর পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১২ নভেম্বর ২০১৪

দুই দিন পর পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা দুই দিনের পতনের পর মঙ্গলবার দেশের উভয় পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে। বেশির ভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধিতে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা থাকলেও আগের তুলনায় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে জ্বালানি এবং শক্তি খাতের আধিপত্যের দিনে ওষুধ এবং রসায়ন খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। তবে আগের ধারাবাহিকতায় নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। ঢাকার মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। সেখানেও আগের দিনের চেয়ে সামান্য লেনদেন কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১১১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টি কোম্পানির শেয়ার দর। সেখানে লেনদেন হয়েছে ৬৬৮ কোটি ৭৭ লাখ ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর আগে সোমবার ডিএসইর সার্বিক সূচক অবস্থান করে ৪ হাজার ৯১৪ পয়েন্টে। ওই দিন লেনদেন হয় ৭০৯ কোটি ৭৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি ৯৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা বা ৫.৭৭ শতাংশ। মঙ্গলবার ডিএসইর টপ-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ৩১৩ কোটি ৩৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৬.৮৬ শতাংশ। এ দিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের। দিনভর এ কোম্পানির ৫৭ লাখ ২১ হাজার ৩০০ শেয়ার ৪৪ কোটি ৬১ লাখ ৮ হাজার ৯০০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এছাড়া বরকতউল্লাহ ইলেকট্রো ডায়নামিকের ২৫ কোটি ৭২ লাখ, পেনিনসুলার ২৫ কোটি ৬৬ লাখ, কেয়া কসমেটিকসের ১৮ কোটি ৯৩ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ১৬ কোটি ১ লাখ, ডেসকোর ১৫ কোটি ৭১ লাখ, এমজেএল বিডির ১৫ কোটি ৫৪ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ১৫ কোটি ৪৯ লাখ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৪ কোটি ৫২ লাখ এবং শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির ১৪ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে দিনটিতে সবচেয়ে লেনদেন হয়েছে জ্বালানি এবং শক্তি খাতের। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ০৭ ভাগ। প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১২৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৯ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ২০ ভাগ। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯২৭৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২২৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ৯৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির। লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন এ সময়ে লেনদেন হয়েছিল ৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে সোমবার সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭ কোটি টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ আইবিবিএলপিএ বন্ড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, হোটেল পেনিনসুলা, সাইফ পাওয়ার টেক, এ্যাপোলো ইস্পাত, মবিল যমুনা বিডি, বরকতউল্লাহ ইলেকট্রো ডায়নামিক, বেক্সিমকো, সুহৃদ ইন্ড্রাস্টিজ এবং খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
×