ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্রের অবকাঠামো দেখে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১১ নভেম্বর ২০১৪

চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্রের অবকাঠামো দেখে ক্ষোভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্রের অবকাঠামো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সার্কভুক্ত ৪ দেশের প্রতিনিধিদল। গত রবিবার দুপুরে সীমান্তবর্তী চ্যাংরাবান্ধায় পৌঁছান প্রতিনিধিদলটি। সেখানে এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের ভবনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন দলের সদস্যরা। বৈঠকে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চ্যাংরাবান্ধা নিয়ে তাঁরা একটি রিপোর্টও তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, চ্যাংরাবান্ধায় ইন্টিগ্রেটেড কাস্টমস পোস্ট (আইসিপি) তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সে কাজ থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ। একটি টিনের ছাউনির নিচে কাজ চলে। একটি ট্রাক টার্মিনালের নির্মাণ কাজও থমকে রয়েছে। প্রতিদিন কতজন বাংলাদেশে যাচ্ছেন আর কতজন বাংলাদেশ থেকে চ্যাংরাবান্ধায় আসছেন তা দ্রুত জানার উপায় নেই। পরে অবশ্য এ বিষয়ে অনলাইন পরিষেবা চালুর বিষয়েও প্রতিনিধি দল উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন। চ্যাংরাবান্ধা হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং, নেপালের কাকরভিটা হয়ে শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত যাওয়ার সড়ক বেহাল হয়ে রয়েছে শুনে হতাশাও প্রকাশ করেছেন প্রতিনিধি দলটি। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের নেতৃত্বে দলটি এসেছেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্রগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবদিক খতিয়ে দেখা হবে। আমরা একটি রিপোর্ট তৈরি করে কর্তৃপক্ষকে পাঠাব।’ বৈঠকে ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। তাঁর কথায়, ‘যা পরিকাঠামো রয়েছে তা জানিয়েছি। প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছেন তাঁরা পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে পদক্ষেপ নেবেন।’ বাংলাদেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণের নেতৃত্বে রবিবার দুপুর নাগাদ ঢাকা থেকে বুড়িমারী হয়ে দলটি চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে পৌঁছান। সড়কপথে সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের এই ধরনের সফর প্রথম বলে জানা গেছে। সোমবার নেপালের কাকরভিটায় যান প্রতিনিধি দল, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি লাগোয়া ফিলবাড়িতে আসার কথা রয়েছে তাঁদের। পঙ্কজ শরণ ছাড়া দলটিতে রয়েছেন বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত প্রেমা চোডেন, বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত হরিকুমার শ্রেষ্ঠা, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক দফতরের অধিকর্তা জহিদুল ইসলাম। তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কয়েকজন পদস্থ আধিকারিকও রয়েছেন। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের বুড়িমারীতে ওই দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বাণিজ্য পরিকাঠামো এবং সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে বৈঠক করেছেন। চ্যাংরাবান্ধায় তাঁদের স্বাগত জানান জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার বরুণকুমার রায়, কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন, কোচবিহার পুলিশ সুপার রাজেশ যাদবসহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক। চ্যাংরাবান্ধা পরিকাঠামো দেখে ভারতীয় হাইকমিশনার কোচবিহার জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে জানতে চান সীমান্তে বাণিজ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক জানান, ইতোমধ্যে বাস টার্মিনাল তৈরির জন্য জমি দেখা হয়েছে। সেটা হলে ইমিগ্রেশন সেন্টার, শুল্ক দফতর, যাত্রীদের বিশ্রামের পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এরপর প্রতিনিধি দলটি চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের অতিথি নিবাসে প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।
×