ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দৌলতপুরে ব্যাংগাড়ী যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণের দাবি

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১১ নভেম্বর ২০১৪

দৌলতপুরে ব্যাংগাড়ী যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, ১০ নবেম্বর ॥ ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ ব্যাংগাড়ীর মাঠে। এলাকাবাসীর কাছে এটা ব্যাংগাড়ীর মাঠের যুদ্ধক্ষেত্র নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অসংখ্য পাকহানাদার বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৩ বছর অতিবাহিত হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি যুদ্ধক্ষেত্রের ওই স্থানটি। ধর্মদহ ব্যাংগাড়ীর মাঠ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শিকারপুর মুক্তিযুদ্ধ সাব-সেক্টর সদরের দূরত্ব ছিল মাত্র দেড় মাইল। এ সাব-সেক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নবেম্বর মাসের দিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী ওই এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই এ খবর পৌঁছে যায় পার্শ্ববর্তী পাকহানাদার ক্যাম্পে। খবর পাওয়ার পর ১১ নবেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর উপর দু’দিক থেকে অতর্কিত সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করে পাকহানাদার বাহিনী। তবে রাত-দিন ধরে চলা এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারাই জয়ী হন। তবে পাকহানাদার বাহিনী ৩ মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেনকে এবং মিত্রবাহিনীর ৩ সদস্যকে জীবিত ধরে নিয়ে যায়। মিত্রবাহিনীর ৩ সদস্যকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফেরত দেয়া হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সেদিন ব্যাংগাড়ী মাঠের যুুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ জানান, ওই যুদ্ধে ৩ শতাধিক পাক সেনা নিহত হয়। আমারও পেটে গুলি লাগে। দৌলতপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কামাল হোসেন দবির জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৩ বছর পার হলেও আজও সেখানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়নি। যুদ্ধক্ষেত্রটি সংরক্ষণের জন্য তিনি বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
×