ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজারে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে জমির মালিকদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১১ নভেম্বর ২০১৪

কক্সবাজারে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে জমির মালিকদের ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মাতারবাড়ির কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধান্ধাবাজ ও প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে জমি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অনেকে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও চিংড়ি প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের নাম দিয়ে কোটি কোটি টাকা লুপাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অধিগ্রহণকৃত জমির মালিক, জমির ওপর নির্ভরশীল শ্রমিক ও প্রকৃত চিংড়ি প্রজেক্টের মালিকরা। সোমবার কক্সবাজারে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে হয়রানির শিকার শতাধিক জামি মালিকরা এ দাবি জানান। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাতারবাড়িতে যে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপিত হতে যাচ্ছে, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩৬ হাজার কোটি টাকার এত বড় বিশাল প্রকল্প আমাদের জানামতে হয়ত আর হয়নি। ক্ষতিপূরণ দেয়ার নামে ২৩ কোটি টাকার যে দুর্নীতি হয়েছে, তা তদন্ত করলে একটা ফলাফল বেরিয়ে আসত অবশ্যই। তবে অজ্ঞাত কারণে কোনরূপ তদন্ত না করে ২১টি সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতেও রেহাই পাওয়ার জন্য অপতৎপরতা শুরু করছে লুটেরা চক্র। জানা গেছে, ক্ষতিপূরণের ফাইল জমার পূর্বশর্ত জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ অবশ্যই জমা করতে হবে। অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা আরও জানান, খাজনার নামে মাতারবাড়িতে ভূমি অফিসে কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও দালালরা প্রতি কানি জমিতে ৫শ’ টাকা হারে খাজনা নেয়া শুরু করলে এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চাপের মুখে কানি প্রতি খাজনা ৪০ টাকা হারে নির্ধারণ হওয়ায় স্থানীয় মানুষ খাজনা নিয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বর্তমানে।
×